ঢাকা | রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

কসোভোর পররাষ্ট্র উপমন্ত্রীর সাথে বাণিজ্যমন্ত্রীর বৈঠক বিনিয়োগ এবং বাণিজ্যবৃদ্ধি আহবান

odhikarpatra | প্রকাশিত: ১৩ অক্টোবর ২০২২ ০০:৩৪

odhikarpatra
প্রকাশিত: ১৩ অক্টোবর ২০২২ ০০:৩৪

 

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, এমপি বলেছেন, কসোভোর সাথে বাংলাদেশের ব্যাসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ দেশি-বিদেশী বিনিয়োগ সৃষ্টির জন্য দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে একশতটি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তুলছে, এরমধ্যে অনেকগুলোর কাজ এখন শেষ পর্যায়ে। কসোভো এখানে বিনিয়োগ করলে লাভবান হবে। উভয় দেশের বাণিজ্য বৃদ্ধির বিপুল সুযোগ ও সম্ভাবনা রয়েছে। অফিসিয়াল এবং প্রাইভেট সেক্টরের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল সফর বিনিময় করলে উভয় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে।  বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন,  বাংলাদেশ পণ্যের একটি বড় বাজার, পাশেই ভারত এবং চায়না’র মতো বড় বাজার রয়েছে। বাংলাদেশে পণ্য উৎপাদন ব্যয় কম। বাংলাদেশের প্রচুর দক্ষ জনশক্তি রয়েছে। বাংলাদেশ সরকার বিদেশী বিনিয়োগের জন্য বেশকিছু স্পেশাল সুযোগ-সুবিধা ঘোষণা করেছে। নির্দিষ্ট কিছু সেক্টরে এবং স্পেশাল ইকোনমিক জোনে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ১০ বছর পর্যন্ত শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। ইউএস গ্রীণ কাউন্সিলের হিসাব মোতাবেক বিশে^র ১০টি গ্রীণ ফ্যাক্টরির মধ্যে বাংলাদেশেরই ৯টি ফ্যাক্টরি রয়েছে। রপ্তানি বাণিজ্যে বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। তৈরী পোশাকের পাশাপাশি বাংলাদেশ মেডিকেল পণ্য এবং বিশ^মানের ঔষধ উৎপাদন করছে। বাংলাদেশের উৎপাদিত ঔষধ বিশে^র প্রায় ১৫২টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে। অনেক সম্ভাবনা থাকার পরও কসোভোর সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য খুবই সামান্য। বিগত ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে বাংলাদেশ কসোভোয় মাত্র ০.৭৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে, একই সময়ে কসোভো থেকে কোন পণ্য আমদানি হয়নি।

বাণিজ্যমন্ত্রী আজ (১২ অক্টোবর) ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর অফিস কক্ষে বাংলাদেশে সফররত কসোভোর উপ-পররাষ্ট্র মন্ত্রী ক্রেশনিক আহমেতি( কৎবংযহরশ অযসবঃর) এর নেতৃত্বে আগত প্রতিনিধি দলের সাথে মতবিনিময়ের সময় এসব কথা বলেন।

কসোভোর উপ-পররাষ্ট্র মন্ত্রী ক্রেশনিক আহমেতি বলেন, কসোভোর অর্থনীতি দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশের সাথে যৌথ বিনিয়োগ করতে আগ্রহী কসোভো। বিনিয়োগের সুরক্ষা,  ট্রেড বডিগুলোর মধ্যে এমওইউ স্বাক্ষর, জয়েন্ট কমিটি গঠন করে ব্যবসায়ীক সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করলে উভয় দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়বে। উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করলে ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগ সৃষ্টি হবে। পণ্যের শুল্কায়নের ক্ষেত্রে জটিলতা দূর করলে উভয় দেশের বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে।  


এসময় আগত প্রতিনিধি দলের সদস্যবৃন্দ এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

 

 

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: