ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ৩ এপ্রিল ২০২৫, ১৯ চৈত্র ১৪৩১

রোজা রাখার উপকারিতা

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ২৫ মার্চ ২০২৩ ২১:১৭

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৫ মার্চ ২০২৩ ২১:১৭

রোজা রাখার মধ্যে রয়েছে যথেষ্ট শারীরিক উপকারিতা, বিশেষ করে বছরে এক মাস অভুক্ত থাকলে তা স্বাস্থ্যরক্ষায় বেশ ভূমিকা রাখে।

হার্ট ভালো থাকে

রোজা দেহের অতিরিক্ত কোলেস্টেরলের  পরিমাণ কমায়। এতে রক্তনালিতে জমে থাকা চর্বির উপাদানগুলো কমতে থাকায় হার্ট ব্লকের মতো ঝুঁকি কমে যায়। 

মস্তিষ্কের কার্যক্রম বৃদ্ধি

 বিজ্ঞানীরা গবেষণায় দেখেছেন, রোজার মাধ্যমে যে মানসিক পরিবর্তন আসে, তাতে মস্তিষ্ক থেকে এক ধরনের নিউরোট্রিফিক ফ্যাক্টর নিঃসৃত হয়, যা অধিক নিউরন তৈরিতে সাহায্য করে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ হয়

গবেষণায় দেখা গেছে, ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য রোজা যথেষ্ট উপকারী। কারণ রোজা রাখা অবস্থায় দেহে নানা ধরনের ইনসুলিন তৈরি হয়, যা ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য বেশ উপকারী।

কিডনি ভালো থাকে

কিডনির মাধ্যমে শরীরে প্রতি মিনিটে এক থেকে তিন লিটার রক্ত সঞ্চালিত হয়। রোজা অবস্থায় কিডনি বিশ্রাম পায়। ফলে এ সময় কিডনি বেশ শক্তিশালী হয়ে ওঠে।

লিভারের ওপর প্রভাব

রমজানে একজন রোজাদারের জন্য লিভারের ফ্যাট ও শরীরের বাড়তি ওজন কমার সুযোগ তৈরি হয়। যাঁদের লিভারে ফ্যাট জমা হয়েছে, তাঁদের জন্য রোজা রাখা উত্তম।

পরিপাকপ্রক্রিয়া কার্যকর হয়

রোজার মধ্য দিয়ে দীর্ঘ সময় ক্ষুধা নিবারণ হয় না, বরং ধীরে ধীরে ক্ষুধার প্রশিক্ষণ হয়। ফলে রমজান শেষে ক্ষুধার মাত্রাও কমে আসে। খাদ্যনালির পরিপাকপ্রক্রিয়া আরো কার্যকর হয়ে ওঠে, খাদ্যদ্রব্য থেকে বেশি পুষ্টি উপাদান সংগ্রহ সম্ভব হয়।

 *লিখেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের হেপাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: