odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Friday, 14th November 2025, ১৪th November ২০২৫

মুন্সীগঞ্জে পুলিশ ফাঁড়ির সামনে সাবেক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

odhikar patra | প্রকাশিত: ৯ April ২০২৪ ০১:৩৩

odhikar patra
প্রকাশিত: ৯ April ২০২৪ ০১:৩৩

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি - মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলায় পূর্ব বিরোধের জেরে পুলিশ ফাঁড়ির সামনে দুইপক্ষের মারামারির সময় সোহরাব খান (৫৫) নামে সাবেক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছে নিহত সোহরাবের ছেলে জনি খান (৪২)। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সোমবার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে দীঘিরপাড় বাজার এলাকায় ওই হামলার ঘটনা ঘটে। নিহত সোহরাব দিঘীরপাড় ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও স্থানীয় খান বাড়ির বাসিন্দা। এদিকে ঘটনার পর দিঘীরপাড় পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ শাহ আলমের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তোলে তদন্ত কেন্দ্রে হামলা ও ভাঙচুর করেছে উত্তেজিত জনতা। এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করায় মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত সোহরাব খানের সঙ্গে ওই এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য ভোলা হালদার ওরফে ভোলা মেম্বারের আর্থিক লেনদেন নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। সেই ঘটনায় সোমবার দিঘীরপাড় পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে আসে দুইপক্ষ। এসময় বিরোধে জড়িয়ে পড়লে ভোলা হালদার  ও তার দুই ছেলে রিজভী হালদার ও রিহান হালদার সহ ৭-৮ জন সোহরাব খান  ও জনিকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। পরে তাদের উদ্ধার করে টঙ্গিবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক সোহরাব খানকে মৃত ঘোষণা করেন। জনির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। নিহতের ছোট ভাই মিজান খান বলেন, দিঘিরপাড় তদন্ত কেন্দ্রের ইনর্চাজ মো. শাহআলম ডেকে এনে আমার ভাইকে হত্যা করেছে। তিনি আরও জানান, তার ভাই সোহরাব খানকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেন তদন্তে কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. শাহআলম। পড়ে তার সামনে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়। তবে তিনি এই ঘটনাকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলেও দাবি করেন। এ বিষয়ে টঙ্গিবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, নিহত সোহরাব খানের মাথায় ও বুকে গুরুতর ধারাল অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এছাড়া আহত জনি খানের মাথায়, বুকে ও পেটে ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ সুপার আসলাম খান। নিহতের বিষয়টি শিকার করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শ্রীনগর সার্কেল) মো. তোফায়েল হোসেন সরকার বলেন,ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করন হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারে ইতিমধ্যে পুলিশি অভিযান শুরু হয়েছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গের পাঠানো হয়েছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: