ঢাকা | রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

ব্রেক্সিট বিল ভোটাভুটিতে হার টেরেসা মে’র

Admin 1 | প্রকাশিত: ৪ মার্চ ২০১৭ ২৩:১৯

Admin 1
প্রকাশিত: ৪ মার্চ ২০১৭ ২৩:১৯

ব্রেক্সিট-বিতর্কে পার্লামেন্টে প্রথম বার হেরে যেতে হলো যুক্তরাজ্যের ধানমন্ত্রী টেরেসা মে-কে। এর ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়া সংক্রান্ত বিল নিয়ে আলোচনার ক্ষেত্রে আরও সময় লাগবে।
পার্লামেন্টের উচ্চ কক্ষ ‘হাউস অব লর্ডস’-এ ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া সংক্রান্ত ইইউ’র লিসবন চুক্তির আর্টিকেল ৫০ সংশোধনীর পক্ষেই বেশি ভোট পড়েছে।
সংশোধনীতে বলা রয়েছে প্রয়োগের তিন মাসের মধ্যে ব্রিটেনে বসবাসকারী ইইউ-এর নাগরিকদের অধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে সরকারকে উদ্যোগী হতে হবে। এই প্রস্তাব লেবার পার্টির পক্ষ থেকে আনা হলেও লিবারেলরা এর প্রতি সমর্থন জানান । সমর্থনকারীদর ছিলেন টেরেসার সাত জন কনজারভেটিভ মন্ত্রীও।
ব্রিটেনে এখন ৩০ লক্ষ ইউরোপীয় মানুষের বাস। পার্লামেন্টে সংশোধনীর পক্ষে জোর সওয়াল হলেও টেরেসা মে-র সরকার সেই দাবি মানার পথে হাঁটতে চায় না। এ মাসেই যত দ্রুত সম্ভব আর্টিকেল ৫০ প্রয়োগ করতে চায় তারা। কিন্তু হাউস অব লর্ডসে ভোটাভুটিতে হেরে যাওয়ায় আবার হাউস অব কমন্সে ফিরে আসবে বিল। পাশ হতেও সময় লেগে যাবে।
উচ্চকক্ষে উত্তপ্ত বাদানুবাদে বুধবার রাত গড়িয়ে যায়। দাবি ওঠে, ব্রেক্সিট শুরু হওয়ার পরে মন্ত্রীরা নাগরিকদের কিভাবে রক্ষা করবেন।
সংশোধনীর পক্ষে প্রবীণ কনজারভেটিভ নেতা ডগলাস হগ বলেন, ‘আপনাদের মনে করাতে চাই উগান্ডার প্রেসিডেন্ট ইদি আমিনের কথা। উগান্ডা থেকে তিনি যখন এশীয়দের বের করে দেন, সেই সময়ের কথা। ১৯৭২ সালে সেই বহিষ্কারের পরে ব্রিটেনে গুজরাটি, শিখ-সহ অনেক ভারতীয়কে আশ্রয় দেয়া হয়েছিল।’
ইয়র্কের আর্চবিশপ জন সেন্টামু বলেন, উগান্ডা থেকে তিনিও বিতাড়িত হন। সংখ্যালঘু হওয়ার যন্ত্রণা তিনি জানেন।
হগ আরও বলেন, এক ফরাসি ওয়েট্রেস তার কাছে জানতে চেয়েছিলেন ব্রেক্সিট ঘটার পরে তার ভবিষ্যৎ কী হবে? ওয়েট্রেসকে আশ্বস্ত করতে হগ জানান, কিছু হবে না। কিন্তু পার্লামেন্টে বিতর্কে তিনি বলেন, ‘আপনার জন্য যা ভাল, তাই হবে। এমন কথা বলে ওকে মোটেই ভরসা দিতে পারিনি।’
অবশ্য ব্রিটেনে ইইউ নাগরিকদের নিয়ে কোনও প্রতিশ্রুতি দেননি টেরেসা। শুধু বলেন, ‘ইইউ-এ ব্রিটিশদের নিরাপত্তা নিয়ে নিশ্চয়তা পেলেই এই ভাবনা এগোবে।’



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: