অধিকারপত্র ডেক্স: আওয়ামী লীগ সরকার জি টু জি এবং জি টু জি প্লাস পদ্ধতিতে মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণ শুরু করে কিন্তু কিছু বাংলাদেশী এজেন্টদের চক্রে সর্বস্বান্ত হতে হচ্ছে।
খোঁজ করে জানা গেছে বিএনপির প্রবাসী নেতা ইঞ্জিনিয়ার বদলুর রহমান বাদল, মোশাররফ হোসেন, বাবুল চৌধুরী ওরফে চিটার বাবুল, দাতো আমিন।
এরা নেপথ্যে তথা কলকাঠি নাড়ে আর আওয়ামী লীগের মকবুল হোসেন মুকুল, রেজাউল করিম রেজা, ওয়াহিদ এবং অন্যান্যরা এদের অনুসরণ করে। অর্থাৎ দলমত নির্বিশেষে আদম ব্যবসায় জড়িতদের মধ্যে কোম্পানিতে কাজ আছে কি না, বেতন, থাকার জায়গা ইত্যাদি বিবেচনার চেয়ে প্রত্যেকটা মানুষ প্রতি কত আয় হবে এমন হিসাব নিকাশ করে।
এমন লোভের কারণে আতংকিত প্রবাসীরা প্রমাদ গুনছে বিএনপি আমলের সময়ের মত অমানবিক পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়!
আওয়ামীলীগ সরকার এসে মানব পাচারের অভিযোগে বন্ধ হওয়া মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খুলে দেয়, বাংলাদেশ সোর্স কান্ট্রি হয় এবং সকল সেক্টরে লোক নিয়োগ শুরু করে। ২০০৬/৭ সালে জাল জালিয়াতি করে চাহিদার অতিরিক্ত কর্মী বাংলাদেশ থেকে এনে বিমানবন্দর থেকেই বিভিন্ন এজেন্টদের কাছে বিক্রি করে দিত, অনেককে রাস্তায় ছেড়ে দিয়েছিল।
অসহায় এসব বাংলাদেশি খেয়ে না খেয়ে ওভার ব্রিজের নিচে আশ্রয় নেয়, অমানবিক পিরিস্থিতির সৃষ্টি হলেও সেদিনকার এইসব আদম বেপারীর কেউই এগিয়ে আসেনি। অপরদিকে অমানবিক পরিস্থিতির জন্য মালয়েশিয়াকে আন্তর্জাতিক জবাব্দিহির সম্মূখীন হতে হয়। পুনরায় সে ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয় এজন্য মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন কড়া হয়, মানব পাচারের সহায়তার অভিযোগে ইতোমধ্যে ১২ জন ইমিগ্রেশন অফিসারকে গ্রেফতার করেছে।
তথাপি ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে মানব নিয়ে খেলা করা এজেন্টরা! তাই আবারো সক্রিয় হয়েছে তারা। এদিকে অর্থ আয়ের উত্তম মাধ্যম হিসেবে তাদের সাথে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কতিপয় নেতাও যোগ দিয়েছে।
উল্লেখ্য সতর্ক মালয়েশিয়া সরকার এজন্য আজ ৬৮ জন কর্মীকে কুয়ালালামপুর বিমানবন্দর থেকেই দেশে ফেরত পাঠিয়েছে। এজন্য বাংলাদেশের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত রিক্রুটিং এজেন্টদের দায় বেশি কেননা তারা না পাঠালে এই অসহায় ইনোসেন্ট গরীব কর্মীদের এতখানি হয়রানি ও প্রতারিত হতে হতো না। এবং এর ফলে কোন রিক্রুটিং এজেন্টদের যেমন গ্রেফতার হতে হবে না তেমনি গরীব নাগরিকরা ন্যায় বিচার পাবে না।
বাংলাদেশের রিক্রুটিং এজেন্টরা কোম্পানি কখন কর্মী চায় তা তোয়াক্কা না করে বা নিশ্চিত না হয়েই লোক প্রেরণ করে। তাদের দীর্ঘ দিনের অভ্যাস কোন রকমে বিমানে তুলে দেয়া আর মালয়েশিয়া প্রান্তের বাংগালী এজেন্টদের অভ্যাস হলো বিমানবন্দর থেকে ভাগিয়ে নিয়ে যাওয়া, জিম্মি করে রাখা এবং চাহিদা মাফিক কোম্পানিতে লোক সাপ্লাই দেয়া এবং জনপ্রতি প্রতিদিন ১০ রিংগিত বা ২০০ টাকা করে নেয়া।
দাসদের মত ব্যবহার করে। এমন পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য অনেক বাংলাদেশী বৈধভাবে কোম্পানিতে কর্মরত বাংলাদেশি কর্মীদের উস্কানি দিচ্ছে কর্মবিরতি দিয়ে, আন্দোলন করে কোম্পানি থেকে পালিয়ে যেতে।
এভাবে পালিয়ে গেলে অবৈধ হবে তাহলে তাদের দাসের মত ব্যবহার করে অর্থ আয় করতে পারবে। এমন অবস্থায় মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন এধরনের অপিততপরতা সম্পর্কে সত্যতা নিশ্চিত করেছে। সূত্রে জানা গেছে বাবুল চৌধুরী একটি কোম্পানিতে কয়েকশ লোক নিয়োগ
দিতে সহায়তা করে এদের ভিসা রিনিউ করতে গিয়ে দেখেন ১৯৬ জনের ভিসা বাতিল করে কোম্পানি ১০০ জনের পারমিট বেড় করেছে।
জানাগেছে বিএনপি নেতা বদলুর রহমান বাদলের সাথে লাভের হিস্যা নিয়ে টানাটানি তে ১৯৬ জনের ভাগ্য দূর্ভাগে পরিণত হয়েছে। জানাগেছে এধরনের ঘটনা আরো আছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: