বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বুধবার জানিয়েছে, ম্যালেরিয়া মৃত্যুহার কোভিড-১৯ সংকটের আগের পর্যায়ে ফিরে এসেছে। গত বছর এ রোগে প্রায় ৫ লাখ ৯৭ হাজার মানুষ মারা গেছে। আন্তর্জাতিক সংস্থাটি রোগটির দ্রুত কার্যকরভাবে মোকাবিলা করার আহ্বান জানিয়েছে।
এক নতুন প্রতিবেদনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ২০২৩ সালে বিশ্বব্যাপী ম্যালেরিয়ার ২৬৩ মিলিয়ন মানুষ ম্যলেরিয়ায় আক্রান্ত হয়। এক বছরের আগের তুলনায় যা ১১ মিলিয়ন বেশি। এ সময় মৃত্যুর সংখ্যা তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল ছিল।
ডব্লিউএইচও’র গ্লোবাল ম্যালেরিয়া প্রোগ্রামের আর্নড লে মেনাচ সাংবাদিকদের বলেন, তবে মৃত্যুর হারের পরিপ্রেক্ষিতে ‘আমরা প্রাক-মহামারী সংখ্যায় ফিরে এসেছি’।
২০২০ সালে কোভিড-১৯ মহামারী ম্যালেরিয়া মোকাবিলা কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটার ফলে ম্যালেরিয়াজনিত মৃত্যু হারে তীব্র বৃদ্ধি ঘটে। সেই বছর ম্যালেরিয়ায় অতিরিক্ত ৫৫ হাজার মারা গিয়েছিল।
তারপর থেকে মশাবাহিত রোগ ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ধীরে ধীরে সঙ্কুচিত হয়েছে। পাশাপাশি মৃত্যুর হারও কমেছে।
২০২৩ সালে আফ্রিকায় আনুমানিক মৃত্যুর হার প্রতি ১০০,০০০ জনে ছিল ৫২.৪। এদিকে এখনও ২০৩০ সাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী ম্যালেরিয়া মোকাবিলা কৌশলে নির্ধারিত মৃত্যুর হার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি রয়ে গেছে।
ডব্লিউএইচও জোর দিয়ে জানিয়েছে, ‘অগ্রগতি ত্বরান্বিত করতে হবে।’
ডব্লিউএইচও ম্যালেরিয়া ভ্যাকসিনের বিস্তৃত রোলআউটকে একটি প্রতিশ্রুতিশীল অগ্রগতি হিসাবে বিবেচিত করেছে, যা প্রতি বছর হাজার হাজার তরুণের জীবন বাঁচাতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
ম্যালেরিয়া ভ্যাকসিন কার্যক্রম প্রথম ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে মালাউইতে শুরু করা হয়। এরপর কেনিয়া এবং ঘানাতে এ টিকা কার্যক্রম চালানো হয়।
ডব্লিউএইচও জানায়, ২০২৩ সালের শেষের দিকে এই তিনটি দেশে প্রায় ২ মিলিয়ন শিশু আরটিএস,এস ভ্যাকসিনের টিকা পেয়েছে।
ডব্লিউএইচও-এর ম্যালেরিয়া ভ্যাকসিন দলের প্রধান মেরি হ্যামেল বলেন, ‘ওই তিনটি দেশে আমাদের পাইলট টিকা কর্মসূচির মাধ্যমে চার বছরে মৃত্যুহার ১৩ শতাংশ কমে গেছে।’
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ডব্লিউএইচও এখন অন্যান্য দেশে ভ্যাকসিন কর্মসূচির অনুরূপ ফলাফল দেখার জন্য উন্মুখ। এই দেশগুলোও চলতি বছরের শুরুতে ‘একই পথ অনুসরণ করে’ টিকা দিতে শুরু করেছে। এখন পর্যন্ত, সাব-সাহারান আফ্রিকা জুড়ে ১৭টি দেশ ডব্লিউএইচও নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে।
আরও আটটি দেশ ভ্যাকসিন জোট জিএবিআই-এর মাধ্যমে ভ্যাকসিন প্রবর্তনের জন্য তহবিল পাওয়ার অনুমোদন পেয়েছে।

                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                            
                                            
                                            
                                            
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: