
বিগত ১৪-১০-২০২৫ইং তারিখ রোজ মঙ্গলবার মুক্তিযুদ্ধা হলের S ব্লকে ৫ তলার বাথরুমে আমার ব্যাচমেটের (২৪ ব্যাচ) গোসলরত অবস্থায় তারেক হুদা হলের ২৩ ব্যাচের সিএসসি ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থী সৌম্য দাস (২৩০৪০২০) আপত্তিকর, অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে। আমার ব্যাচমেট উপরের দিকে তাকালে ভিডিও করতে দেখে হাতেনাতে ধরে ফেলে।তার পরবর্তীতে যখন তাকে জিজ্ঞেস করা হয় তখন সে অস্বীকার করে। কিন্তু ফোনের ডিলেট বক্স চেক করার পর ঐ ভিডিও এর ১০ কপি পাওয়া যায়।পরে সিনিয়র ভাইদের মাধ্যমে হল প্রভোস্ট স্যারের কাছে গেলে সবার সামনে টেলিগ্রাম এ্যাপ চেক করলে বিভিন্ন অসামাজিক ও অশালীন গ্রুপের এডমিন হিসেবে উনাকে পাওয়া যায় এবং স্যাটানিক গ্রুপের সাথে সম্পৃক্ততা পাওয়া যায় । সম্মানিত প্রভোস্ট স্যার ৭ দিনের মধ্যে সমাধানের আশ্বাস দিলেও ৮ দিন চলে যাওয়ার পরও কোন দৃশ্যমান পদক্ষেপ লক্ষ্য করছিনা। এমতাবস্থায় আমার উক্ত ব্যাচমেট মানসিক ট্রমার মধ্যে আছে এবং চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেছে।
কালপ্রিট অন্য হলের হয়ে আমাদের হলে এসে যে ভিডিও করলো, ও যে অন্য কোনো হলের বা ডিপার্টমেন্টাল বাথরুমে গিয়ে অন্য কারো ভিডিও ধারণ করে নাই, সেটার কোনো নিশ্চয়তা নাই। সেক্ষেত্রে চুয়েটের অন্য সকল শিক্ষার্থীই অনিরাপদ।
এখানে উল্লেখ্য যে সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩ অনুযায়ী প্রাইভেসি লঙ্ঘনের অপরাধে সর্বোচ্চ ৫ বছর ও ৫ লক্ষ টাকা জরিমানার কথা উল্লেখ আছে।
এমতাবস্থায় আমরা নিম্নোক্ত দাবিসমূহ চুয়েট প্রশাসনের কাছে উত্থাপন করছি।
১. কালপ্রিটের ফোনের ফরেনসিক টেস্ট করতে হবে।
২. ওর ছাত্রত্ব বাতিল ও আজীবন বহিষ্কার করতে হবে।
৩. চুয়েটের প্রশাসনকে বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা করতে হবে এবং এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
- মাহদী রাব্বানী
- Engineers Dairy Cuet face book pace
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: