ঢাকা | শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১
ডিএসসিসি : ওয়ার্ড ৩৫

নাগরিক পরিষেবার মান আরও বাড়াব: আবু সাঈদ

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ২৭ জানুয়ারী ২০২০ ০৮:৫৮

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ২৭ জানুয়ারী ২০২০ ০৮:৫৮


নাগরিক পরিষেবার মান আরও বাড়াব: আবু সাঈদ
বিজয়ী হলে নিজের ওয়ার্ডে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখবেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থী আবু সাঈদ। গতকাল রোববার সমকালের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ডগুলোর মধ্যে ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডকে একটি আধুনিক ওয়ার্ডে পরিণত করার স্বপ্ন রয়েছে তার। তার প্রতীক ব্যাডমিন্টন। ভোটারদের ওপর তার রয়েছে দৃঢ় বিশ্বাস। নির্বাচনে ওয়ার্ডের ভোটাররা উন্নয়নের স্বার্থে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দল আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীকেই রায় দেবেন।

আবু সাঈদ ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর। মালিটোলা, বংশাল (একাংশ), আনন্দ মোহন বসাক লেন, গোয়ালনগর লেন, ইংলিশ রোড, পুরোনো মোগলটুলী, নবাবপুর রোড, হাজী মইনুদ্দিন রোড, নয়াবাজার পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের কলোনি এলাকা নিয়ে ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড।

আবু সাঈদ বলেন, সাড়ে চার বছর সফলতার সঙ্গে কাউন্সিলরের দায়িত্ব পালন করেছি। প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় নিজে উপস্থিত থেকে মশার ওষুধ ছিটানো, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজ তদারকি করেছি। আবার কাউন্সিলর নির্বাচিত হতে পারলে নাগরিক পরিষেবার মান আরও বাড়াব।

এ ওয়ার্ডে মজবুত একটি পঞ্চায়েত কমিটি রয়েছে। কমিটির নির্দেশে বিচারকাজ সম্পন্ন করা হয়। পঞ্চায়েত কমিটির একাধিক সদস্য জানান, এ ওয়ার্ডটি নিরিবিলি একটি ওয়ার্ড। কোনো আমলে কোনো দলের নেতাকর্মীরা কোনো ধরনের প্রভাব বিস্তার করে না। পঞ্চায়েতকে সব নেতাকর্মীই মূল্যায়ন করেন। এমনকি এলাকার উন্নয়নের ক্ষেত্রেও পঞ্চায়েতের দিকনির্দেশনা মেনে নেন কাউন্সিলর। পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি আবু সাঈদ। তবে তার একক নেতৃত্বে কোনো কিছু হয়নি।

আবু সাঈদ বলেন, পঞ্চায়েত কমিটি বেশ শক্তিশালী। এখানে সব দলের লোক নিয়ে পঞ্চায়েত কমিটি করা হয়েছে। তিনি বলেন, তার আমলে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। ড্রেনেজ, পয়ঃনিস্কাশন ছাড়াও একটি আধুনিক পার্ক হচ্ছে ইংলিশ রোডে। যেখানে কোমলমতি শিশুরা খেলতে পারবে। এমনকি হাঁটাহাঁটি করতে পারবে ডায়াবেটিস রোগীরা। তিনি আরও বলেন, গত সিটি নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন তিনি। ওই সময়ে পাঁচ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও নির্বাচিত হয়েছি আমি। পঞ্চায়েতের সিদ্ধান্ত ও ভোটারের পছন্দে পাস করেছি। তবে এবার দু'জন প্রার্থী। তিনি আওয়ামী লীগের টিকিটে আর ইয়াকুব সরকার বিএনপির টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী সাঈদ।

তিনি বলেন, গতবার জনগণের ভোটে আমি নির্বাচিত হয়ে সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। শতচেষ্টার পরও কিছু ভুলত্রুটি ছিল, জনগণ সেটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন বলে আশা করি।

পাঁচ বছরের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে এ প্রার্থী বলেন, এলাকায় স্যুয়ারেজ লাইন স্থাপন, রাস্তাঘাট নতুন ঢালাই ও মেরামতের মাধ্যমে ব্যাপক উন্নয়ন, জলাবদ্ধতা নিরসন, রাস্তা ও অলিগলিতে আধুনিক এলইডি লাইট স্থাপন, ময়লা-আবর্জনা পরিস্কারে আধুনিক সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন স্থাপন কাজ শুরু, অধিকাংশ এলাকায় সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে মাদক নির্মূল, হাজী মইনুদ্দিন সড়কে ও বাইতুল মামুর মসজিদ বড় পরিসরে পুনর্নির্মাণ, স্কুলের স্থাপনা সংস্কার, জল সবুজের ঢাকা নামে আধুনিক পার্কের কাজ শুরু, সুইপার কলোনিতে ৩০টি ফ্ল্যাট নির্মাণ এবং বংশাল চৌরাস্তা মোড়ে পার্কের কাজ শুরু হয়েছে। এ ছাড়া দুস্থ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা, দুস্থদের মাঝে খাদ্য, শীতবস্ত্র, খৎনা, চক্ষুশিবির, হেপাটাইটিস বি পরীক্ষাকরণ ও রক্তদান কর্মসূচি নিয়মিত পরিচালনা করেছি।

আবু সাঈদ তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরে বলেন, দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংস্কার ও আধুনিকীকরণ, এলাকা শতভাগ সিসি ক্যামেরায় আওতায় আনা, সুইপার কলোনিতে আরও ফ্ল্যাট নির্মাণ করে আধুনিক পরিবেশ গড়ে তোলা, আধুনিক শৌচাগার নির্মাণ, মাদক নির্মূলে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ, কাজ শুরু হওয়া পার্ক ও বিনোদন কেন্দ্রগুলো দ্রুত উদ্বোধন, ইংলিশ রোড মার্কেট সংস্কারের মাধ্যমে মার্কেটের পাশাপাশি মাতৃসদন, বাচ্চাদের গেম জোন ও আধুনিক ব্যায়াগামার (জিম) স্থাপন করা হবে। এ ছাড়া কাউন্সিল অফিসকে ডিজিটালাইজ করা হবে, যাতে অনলাইনে জনগণ রাস্তাঘাট, নালা-নর্দমা পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে অব্যবস্থাপনার ছবি ও মাদক ব্যবসা-সংক্রান্ত ছবি আপলোড করে দ্রুত সেবা নিশ্চিতে সহায়তা করতে পারেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: