ঢাকা | মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২

খালেদা জিয়ার মুক্তি সমাবেশে নয় -তথ্যমন্ত্রী

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৭:৪০

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৭:৪০

 

ঢাকা, শনিবার ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০:
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সমাবেশে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি মিলবে না, বরং বিএনপির সমাবেশ আইন- আদালতের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন ।

শনিবার দুপুরে রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের মওলানা আকরাম খাঁ মিলনায়তনে 'জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা'য় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

বেগম জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপি'র শনিবারের সমাবেশ প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'দুর্নীতির দায়ে আদালতের বিচারে সাজাপ্রাপ্ত আসামী হিসেবে কেবল আদালতে জামিন বা খালাস পাওয়া ছাড়া বেগম জিয়ার মুক্তির অন্য কোন পথ নেই। সেকারণে, তার মুক্তির জন্য আন্দোলন আইন-আদালতের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন।'

মন্ত্রী এসময় পাকিস্তানের নওয়াজ শরিফ ও ভারতের জয়রাম জয়ললিতার বিচারের উদাহরণ দেন। তিনি বলেন, 'বিপুল জনপ্রিয়তা সত্ত্বেও তাদের গ্রেফতার ও বিচার প্রক্রিয়া নেয়া হয়েছে। জয়ললিতার গ্রেফতার ও মৃত্যুর পর অনেক ভক্ত আত্মহত্যা পর্যন্ত করেছেন, কিন্তু তার দল কখনো আদালতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সমাবেশ বা আন্দোলন করেনি।'

'বিএনপি আগেও মেশিন বিক্রি করেছে'

'বিএনপি'র মেশিন বেচার ইতিহাস রয়েছে' উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'বিএনপি তাদের আমলে আদমজী পাটকলসহ দেশের বিভিন্ন কলকারখানা বন্ধ করে সেখানকার মেশিনপত্র কেজি দরে বেচে দিয়েছিল বলেই তাদের নেতা খসরু সাহেব আজ নির্বাচনে হেরে ইভিএমগুলো কেজি দরে বেচার কথা বলার ধৃষ্টতা দেখিয়েছেন।'

'মূর্খের মতো কথা না বলার অনুরোধ'

সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর উদ্বৃত্ত অর্থ রাষ্ট্রীয় খাতে জমা রাখার বিধানের বিরুদ্ধে বিএনপিনেতা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সমালোচনাকে অযৌক্তিক বলে বর্ণনা করা ড. হাছান বলেছেন, 'কিছু সরকারি প্রতিষ্ঠানের উদ্বৃত্ত অর্থ বিভিন্ন তফসিলি ব্যাংকে রাখা হতো, যার হিসাব প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন প্রতিবেদনে সময়ে সময়ে অপ্রদর্শিত থাকায় তা অর্থনীতিতে যুক্তও হতো না। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর খরচ মেটানো ও উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ রেখেই উদ্বৃত্ত অর্থ রাষ্ট্রীয় খাতে জমা রাখা দেশের অর্থনীতির জন্য মঙ্গলের। এবিষয়টি না বুঝে বা বুঝেও মূর্খের মতো সমালোচনা করলে তারা নিজেরা লজ্জা না পেলেও আমরা লজ্জা পাই। এটি না করার অনুরোধ জানাবো।'

সভার শুরুতে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে মন্ত্রী বলেন, 'জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী মুজিববর্ষ সমাগত। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের জন্ম না হলে ঘুমন্ত বাঙালি জাগ্রত হতো না, বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না।'

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, 'বঙ্গবন্ধু শুধু দেশ স্বাধীনই করেননি, দেশের ভেতরে এক কোটি গৃহহারা ও ভারতে আশ্রিত প্রায় আরো এক কোটি মানুষকে পুণর্বাসিত করেছেন। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে যাওয়া যাওয়া ধ্বংসস্তুপের ভেতর থেকে দেশের অর্থনীতির ইতিহাসে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি এনে দিয়েছেন। আর তার মৃত্যুর পর দেশ যে দুর্নীতি-দুঃশাসনে পিছিয়ে পড়েছিল, বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবার বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে দেশকে অদম্য গতিতে এগিয়ে নিচ্ছেন। সমস্ত সূচকে আজ আমরা পাকিস্তানকে পেছনে ফেলেছি। গত ১১ বছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির গড় হার বিশ্বে সর্বোচ্চ।'

'দেশের এই উন্নয়ন যারা সহ্য করতে পারেনা, শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়ে তারা যে ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে, তা থেকে সমগ্র জাতিকে সতর্ক থাকতে হবে' বলেন তথ্যমন্ত্রী।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, 'বিএনপি-জামাতের সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও মুজিববর্ষ উদযাপন সফল করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।'

বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি প্রখ্যাত অভিনেত্রী সারাহ বেগম কবরী'র সভাপতিত্বে সভায় অাওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিক কণ্ঠশিল্পী মোঃ রফিকুল অালম, সাংবাদিক মানিক লাল ঘোষ, অভিনেত্রী তারিন জাহান, শাহনূরসহ এবং আমন্ত্রিত অতিথিবর্গ যোগ দেন।

-মীর আকরাম উদ্দীন আহম্মদ। সিনিয়র তথ্য অফিসার। ০১৭৬৩-৭৭০২০৭



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: