

ঢাকা, ১৩ নভেম্বর, ২০২১ : রাজধানীতে রাইদা পরিবহনের একটি বাস থেকে ১০বছরের কন্যা শিশু মরিয়মকে ফেলে হত্যার ঘটনায় ওই বাসের চালক রাজু মিয়া (২৫) ও তার সহযোগী ইমরান হোসেনকে (৩৩) গ্রেফতার করেছে র্যাব।
শনিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন এ ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, মরিয়ম তার পরিবারের সঙ্গে খিলক্ষেতের কুড়াতলী এলাকায় থাকতো। ২০১৯ সালে স্থানীয় একটি স্কুলে ভর্তি হয়েছিলো মরিয়ম। কিন্তু অর্থের অভাবে বেশিদূর পড়াশোনা করা হয়নি তার। মেয়েটি বাসে উঠে যাত্রীদের কাছে সাহায্যে চাইতো। ঘটনার দিন বাসটি যমুনা ফিউচার পার্কে পৌঁছালে মরিয়ম যাত্রীদের কাছে সাহায্য চাইতে গাড়িতে ওঠে।সেই গাড়ির হেলপার ইমরান তখন চালক রাজুকে বলে, একজন পথশিশু গাড়িতে উঠেছে। তাকে নামিয়ে দেয়ার জন্য গাড়ির গতি কমাতে বলে। এ সময় রাজু মরিয়মকে দরজার কাছে নিয়ে যেতে বলে। চালক রাজু কিছুদুর না যেতেই গাড়ি আবার থামতে বলায় কিছুটা বিরক্ত হয়ে বাসের গতি হালকা কমিয়ে, মরিয়মকে তাড়াতাড়ি নামতে বলে ইমরান।
এসময় মরিয়ম তাড়াহুড়ো করে নামার সময় হঠাৎ চালক জোরে গাড়ি চালানো শুরু করে। এতে মরিয়ম বাসের দরজা থেকে ছিঁটকে রাস্তায় পড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
ওইদিন বিকেলে মেয়ের মরদেহ শনাক্ত করেন বাবা রনি মিয়া। পরে এ ঘটনায় রাতেই অজ্ঞাত গাড়িচালককে আসামি করে মামলা করেন তিনি।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, মামলার পর র্যাব এই ঘটনার ছায়া তদন্ত শুরু করে। এসময় ঘটনাস্থল ও আশপাশের প্রায় ৫০টির বেশি সিসিটিভি ছাড়াও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে র্যাব। এরপরই শিশুটির মৃত্যু রহস্য উদঘাটন হয়
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: