ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১ বৈশাখ ১৪৩২

ইমরান খানই থাকছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী

 আন্তর্জাতিক ডেস্ক   | প্রকাশিত: ৪ এপ্রিল ২০২২ ২১:৩৩

 আন্তর্জাতিক ডেস্ক  
প্রকাশিত: ৪ এপ্রিল ২০২২ ২১:৩৩

অন্তবর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী দায়িত্বগ্রহণের আগ পর্যন্ত সাংবিধানিকভাবে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকবেন। দেশটির প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি রোববার এক টুইটে এ তথ্য জানিয়েছেন।

রোববার (৩ এপ্রিল) দিবাগত রাত ২ টার দিকে দেওয়া সেই টুইটবার্তায় আরিফ আলভি বলেন, ‘সংবিধানের ২২৪ নম্বর অনুচ্ছেদের ‘এ’ ধারার ৪ নম্বর উপধারা অনুযায়ী, অন্তবর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব নেওয়ার আগ পর্যন্ত জনাব ইমরান আহমাদ খান নিয়াজিই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকবেন।’

যদিও রোববার (৩ এপ্রিল) রাতে ক্যাবিনেট সচিব একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দেন ইমরান খান এখন আর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নেই। তবে এক টুইট বার্তায় দেশটির প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি ঘোষণা দেন যে, ইমরান খানই আপাতত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

যদিও, পাকিস্তানের সংবিধানের ২২৪ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত ইমরান খান ১৫ দিনের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসাবে বহাল থাকতে পারবেন।

আরিফ আলভি টুইটারে জানান, ইসলামিক রিপাবলিক অব পাকিস্তানের সংবিধানের ২২৪ এর এ (৪) অনুচ্ছেদের অধীনে তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বহাল থাকবেন।

রোববার (৩ এপ্রিল) পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরি জানিয়ে দেন যে ‘দেশের স্বার্থে’ ইমরান খানের সরকারের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করা হচ্ছে। আর এরপর থেকেই দিনভর নাটকীয় ঘটনা ঘটে দেশটিতে।

১৯২ জন বিরোধীদলের সদস্য অ্যাসেম্বলিতে শাহবাজ শরিফকে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, সেখানে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট অ্যাসেম্বলি ভেঙে দিয়েছেন। বিরোধীদের দাবি, অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করার বিষয়টি অসাংবিধানিক। আবার রাতে পাকিস্তানের ক্যাবিনেট সচিব একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দেন ইমরান খান এখন আর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নেই।

সোমবার (৪ এপ্রিল) দেশটির সুপ্রিম কোর্ট সিদ্ধান্ত নিতে পারে যে ইমরান খানের ইচ্ছে মতো আগামী ৯০ দিনে পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে কি না।

এর আগে, ইমরান খান জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেন সবাইকে। এরই মাঝে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট সংসদ ভেঙে দিয়েছেন। দেশটির সংবিধান অনুযায়ী, এ ক্ষেত্রে সরকার চালায় অন্তরবর্তীকালীন সরকার। যদিও কোনও অন্তরবর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করেননি প্রেসিডেন্ট।

অপরদিকে, পাকিস্তানি সেনার তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে ইসলামাবাদের ঘটনা প্রবাহের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। সূত্র: জিও নিউজ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: