
কিউবার রাজধানী হাভানার হোটেল সারাতোগায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২২ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন অন্তত ৬০ জন।
তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কিউবার রাজধানী হাভানার অভিজাত পাঁচতারকা হোটেলগুলোর মধ্যে একটিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর হতাহতের এই ঘটনা ঘটে। শনিবার (৭ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
এতে বলা হয়, শুক্রবার দেশটির ঐতিহাসিক পাঁচ তারকা হোটেল সারাতোগায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। হোটেলটি কিউবা সরকারের পুরোনো কংগ্রেস ভবনের বিপরীতে অবস্থিত।
বিবিসি প্রতিবেদনে জানায়, হোটেলটির বাহিরে থেমে থাকা একটি গ্যাস ট্যাংকার হঠাৎ জ্বলে ওঠে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
পাঁচ তলা বিশিষ্ট বিলাসবহুল সারাতোগা হোটেলটি করোনার কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল। এ সংকট কাটিয়ে আগামী চার দিনের মাথায় এটি পুনরায় চালু করার কথা ছিল। এ বিস্ফোরণের ফলে আপাত হোটেলটি চালু করা যাচ্ছে না বলেই ধরা হচ্ছে। কারণ বিস্ফোরণের ফলে এর বাইরের দেয়ালের বেশির ভাগ অংশ বিধ্বস্ত হয়েছে।
এদিকে ধ্বংসাবশেষের নিচে আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধারে কাজ চলছে। আর আহতদের নিকটবর্তী হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
বিস্ফোরণের পর কিউবার প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল দিয়াজ ক্যানেল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, এটি কোনো বোমা বিস্ফোরণ বা হামলা নয়। এটি নিছক একটি দুর্ঘটনা।
কিউবার প্রেসিডেন্সি জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে একজন গর্ভবতী মহিলা ও একটি শিশু রয়েছে।
বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত এই হোটেলের একটি ব্লকে বসবাস করতেন ইয়াজিরা দে লা কারিদাদ। সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজকে তিনি বলেন, ভেবেছিলাম (বিস্ফোরণটি) একটি ভূমিকম্প। অন্য প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের পর তারা আকাশে কালো ধোঁয়া ও ধুলোর মেঘ উড়তে দেখেছেন।
এছাড়া সারাতোগা হোটেলের পেছনে একটি স্কুল রয়েছে। তবে বিস্ফোরণের কারণে সেখানে কোনো ক্ষতি হয়নি। স্থানীয় কর্মকর্তারা বলছেন, বিস্ফোরণের পর স্কুলের সকল শিশুকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: