odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Friday, 14th November 2025, ১৪th November ২০২৫

ভারতে গ্রেফতার পি কে হালদার

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১৫ May ২০২২ ০৯:৪২

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৫ May ২০২২ ০৯:৪২

এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপক ও চাঞ্চল্যকর অর্থ পাচার মামলার মূল অভিযুক্ত পি কে হালদার (প্রশান্ত কুমার হালদার) ভারতে গ্রেপ্তার হয়েছেন।

শনিবার (১৪ মে) দেশটির এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) অভিযানে তিনি গ্রেপ্তার হয়েছেন।তার সঙ্গে আরও ৫ স্বজন ও সহযোগীও গ্রেপ্তার হয়েছেন।

গ্রেপ্তারের খবর জানার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, পি কে হালদার দেশে আনার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে। তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে নিশ্চয়ই আমরা তাদের (ভারত) কাছে সহযোগিতা চাইবো। তাকে ফেরত আনার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে।

শনিবার (১৪ মে) সন্ধ্যায় পি কে হালদারের বিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, পি কে হালদারকে গ্রেপ্তারে আমাদের কাছে অফিসিয়ালি খবর আসেনি। খবর এলে আমরা সিদ্ধান্ত নেবো। আমাদের দেশে তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। আমরা নিশ্চয়ই তাকে দেশে ফেরত আনার জন্য ভারতের কাছে সহযোগিতা চাইবো। তাকে ফেরত আনার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে।

জানা গেছে, পশ্চিমবঙ্গে নাম পাল্টে বসবাস করছিলেন বাংলাদেশ থেকে হাজার কোটি টাকা পাচারের হোতা পি কে হালদার। শুক্রবার (১৩ মে) পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে পিকে হালদার সংশ্লিষ্ট ১০টি স্থানে অভিযান চালিয়েছে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা।

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কানাডা ঘুরে পি কে হালদার ভারতে গা-ঢাকা দিয়েছেন- এমন খবর প্রথম ইডিকে জানান বাংলাদেশের গোয়েন্দারা। এরপর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও বাংলাদেশ ব্যাংক তাকে গ্রেপ্তার করতে ইডিকে অনুরোধ জানায়।

ইডির পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের নাগরিক প্রশান্ত কুমার হালদার, প্রীতিশ কুমার হালদার, প্রাণেশ কুমার হালদার এবং তাদের সহযোগীদের সম্পদের খোঁজে বেশ কয়েকটি স্থানে ইডি অভিযান চালিয়েছে।

প্রশান্ত কুমার হালদার এখানে শিবশঙ্কর হালদার নাম ধারণ করে অবস্থান করেন। নিজেকে ভারতীয় নাগরিক হিসেবে পরিচয় দেন। এই ভুয়া পরিচয়ে তিনি ভারতে সরকারি পরিচয়পত্র যেমন— পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রেশন কার্ড, ভারতীয় ভোটার আইডি কার্ড, পিএএন এবং আধার কার্ডের মালিক হয়েছেন। একইভাবে প্রশান্ত কুমার হালদারের সহযোগীরাও এ ধরনের সরকারি কার্ড সংগ্রহ করেছেন।

ইডি অনুসন্ধানে আরও জানতে পেরেছে, এই বাংলাদেশি নাগরিকেরা ভারতে জালিয়াতির মাধ্যমে সংগৃহীত বিভিন্ন সরকারি পরিচয়পত্র ব্যবহার করে একাধিক কোম্পানি খুলেছেন। পাশাপাশি কলকাতা মহানগরীর অভিজাত এলাকায় বেশ কয়েকটি স্থাবর সম্পত্তি কিনেছেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: