
অধিকারপত্র প্রতিবেদক : রোববার মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সভাকক্ষে দুদেশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মধ্যে এ চুক্তি সম্পন্ন হয়। চুক্তি হওয়া এ ড্রেজিং প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৯ কোটি টাকা। মংলা বন্দর জেটি থেকে রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার এ নৌপথটি ভারতের 'ড্রেজিং কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া লিমিটেড' নামে প্রতিষ্ঠানটি এ কাজ করবেন বলে জানা গেছে।
ড্রেজিং চুক্তিতে ভারতের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সে দেশের ডেপুটি হাইকমিশনার দিবাঞ্জন রায় ও ভারতের ড্রেজিং কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান শ্রী রাজেস ত্রিপথি।
বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমোডর ফারুক হাসান, প্রকল্প কর্মকর্তা শওকত আলীসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
পরে সাংবাদিকদের বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের ডেপুটি হাই কমিশনার দিবাঞ্জন রায় বলেন, তাপ বিদ্যুৎ প্রকল্পটির জন্য কয়লা পরিবহন অত্যন্ত জরুরি। সে ক্ষেত্রে নৌপথটি সচল রাখা দরকার।
তিনি বলেন, এই ড্রেজিং কার্যক্রমে তাদের প্রতিষ্ঠান 'ড্রেজিং কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া লিমিটেড' ভাল কাজ করবেন। এই প্রজেক্টের কাজ শেষ হলেই বাংলাদেশে ভারত আরো বিনিয়োগ করবে বলেও তিনি জানান।
মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমোডর ফারুক হাসান বলেন, রামপাল তাপ বিদ্যুৎ প্রকল্পে কয়লা পরিবহনে গুরুত্বপূর্ণ নৌপথটি সচল রাখতে তারা এই উদ্যোগ নেন। এ নৌপথটি সচল হলে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কয়লা পরিবহনসহ বন্দরে বড় বড় জাহাজেরও আগমন হবে এবং বন্দরের আয়ও বাড়বে।
আগামী মাসে এই ড্রেজিংয়ের কাজ শুরু হবে। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে এ কাজ শেষ হবে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ২০১০ সালে ভারতের সঙ্গে রামপালে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ নির্মাণের চুক্তি হয়।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: