
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের সংঘর্ষের ঘটনায় আগামী ১২-১৩ মার্চ ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এছাড়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় ৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
রাবি শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের সংঘর্ষ শুরুর প্রায় ৪ ঘণ্টা পর শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে এসে ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধের ঘোষণা দেন উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার। এসময় তিনি হাত মাইকে শিক্ষার্থীদেরকে হলে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করেন। এছাড়াও প্রশাসন শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে বলে জানান তিনি।
এ ঘোষণা দেওয়ার পরই শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েন উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার । উপাচার্যের দেরিতে আসা এবং ক্যাম্পাস বন্ধের প্রতিবাদ জানায় শিক্ষার্থীরা।
সংঘর্ষের ঘটনার প্রেক্ষিতে স্থানীয় লোকজন দেশিয় অস্ত্র নিয়ে বিনোদপুর ও আশেপাশের মেস গুলোতে হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে একাধিক শিক্ষার্থী।
এর আগে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের আলামিন নামের এক শিক্ষার্থী মোহাম্মদ পরিবহনে বগুড়া থেকে ক্যাম্পাসে ফিরছিলেন। বাসের সিটে বসাকে কেন্দ্র করে বাসের সুপারভাইজার ও চালকের সাথে তার কথা কাটাকাটি হয়।
পরে ক্যাম্পাস সংলগ্ন বিনোদপুর গেট এলাকায় এসে কন্ডাক্টরের সাথে আবারও বাকবিতণ্ডা হয় আকাশের। এ সময় স্থানীয় এক দোকানদার গিয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে তর্কে জড়ায়। একপর্যায়ে উভয়ের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। পরে শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে জড়ো হয় এবং দোকানদারের ওপর চড়াও হয়। স্থানীয়রাও একজোট হয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।
শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় ( রাত ১২ টা অব্দি) দু’পক্ষের অন্তত ৫৫ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। স্থানীয় সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহত শিক্ষার্থীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: