ঢাকা | বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

জবির শহীদ মিনারটি ভাঙ্গার প্রস্তাব

জবি প্রতিনিধি | প্রকাশিত: ১৭ মার্চ ২০২৩ ০৪:১০

জবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১৭ মার্চ ২০২৩ ০৪:১০

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ব্যতিক্রমি শহীদ মিনারটিকে ভেঙ্গে নতুন করে বানানোর প্রস্তাব দিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকবৃন্দ।
১৬ মার্চ (বৃহস্পতিবার)  জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য কনফারেন্স রুমে এ প্রস্তাবনা দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ।
এনআইএস, জবি কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক-এর সভাপতিত্বে তাঁর সভা কক্ষে সুশাসন প্রতিষ্ঠার নিমিত্তে অংশীজনের (Stakeholders) (অংশীজন হিসেবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউট পরিচালক, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, দপ্তর প্রধানগণ এবং এপিএ সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা), সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধি-এর সমন্বয়ে ১৬ মার্চ(বৃহস্পতিবার)  বেলা ২টায়  ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের ৩য় সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় এই প্রস্তাব দেওয় হয়।
শিক্ষকদের প্রস্তাবে জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ ইমদাদুল হক বলেন, আমি এই স্থাপত্যের গুরুত্ব সম্পর্কে অবগত নই। শহীদ মিনারের জাতীয় একটা নকশা আছে, সে অনুযায়ী শহীদ মিনারের করলে সামনে যায়গা বাড়বে এতে আমাদের বিভিন্ন অনুষ্ঠান করতে সুবিধা হবে। বিভিন্ন দিবসে শ্রদ্ধা জানানোর ক্ষেত্রে বেগ পোহানো ও শহীদ মিনারে উঠতে গিয়ে ঝামেলায় পড়া নিয়েও তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন। এর আগে ২০২২ সালে বর্তমান নকশাটি পরিবর্তন করে নতুনভাবে শহীদ মিনার নির্মানের প্রস্তাব দেয় একদল শিক্ষার্থী। তখন তারা অক্টোপাস আকৃতির উল্লেখ করে এর পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছিলেন, ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি নকশা পরিবর্তন করে নতুন শহীদ মিনার নির্মান করতে  বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধনও করা হয়। পরে তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানকে  একটি স্মারকলিপি প্রদান করেছিল শিক্ষার্থীরা।

২০২০ সালে দেওয়া স্মারকলিপিতে তারা উল্লেখ করেছিলেন, ক্যাম্পাসে যে অক্টোপাস আকারের শহীদ মিনার আছে সেটি কি আসলে শহীদ মিনার না বসার স্থান, তাও অনেকে জানে না। এটিকে বসার স্থান ভেবে অনেকে জুতা নিয়ে ওপরে ওঠে, সন্ধ্যার পর অনেকে আড্ডাবাজি করে, এমনকি এর ভিতরে বিভিন্ন ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপও চোখে পড়ে। যার ফলে ভাষা শহীদদের প্রতিনিয়ত অবমাননা করা হচ্ছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: