ঢাকা | শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২

ট্রাম্পের ঘোষণায় যুক্তরাষ্ট্রে কোকা-কোলায় আখের চিনি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত  

odhikarpatra | প্রকাশিত: ১৮ জুলাই ২০২৫ ০০:০১

odhikarpatra
প্রকাশিত: ১৮ জুলাই ২০২৫ ০০:০১

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন বহুজাতিক পানীয় নির্মাতা প্রতিষ্ঠান কোকা-কোলা যুক্তরাষ্ট্রে কোকা-কোলার পণ্যে খাঁটি আখের চিনি ব্যবহারের বিষয়ে সম্মত হয়েছে।

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে কোকা-কোলার পানীয় প্রস্তুতে হাই-ফ্রুকটোজ কর্ন সিরাপ (এইচএফসিএস) ব্যবহার করা হয়। এটি একটি বিকল্প মিষ্টিকারক। এটি দীর্ঘদিন ধরে মার্কিন স্বাস্থ্যমন্ত্রী রবার্ট এফ. কেনেডি জুনিয়র এবং তার নেতৃত্বাধীন ‘মেক আমেরিকা হেলদি অ্যাগেন’ আন্দোলনের সমালোচনার লক্ষ্য হয়ে এসেছে।

ওয়াশিংটন থেকে এএফপি জানায়, ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল-এ লেখেন, ‘আমি কোকা-কোলার সঙ্গে কথা বলেছি যাতে তারা যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদিত কোকে খাঁটি আখের চিনি ব্যবহার করে। তারা এতে সম্মত হয়েছে। আমি কোকা-কোলা কর্তৃপক্ষের কাছে কৃতজ্ঞ। এটি একটি চমৎকার পদক্ষেপ হবে, দেখবেন, এটি নিঃসন্দেহে ভালো সিদ্ধান্ত!’

তবে ট্রাম্প এ সিদ্ধান্তের পেছনে ব্যক্তিগত প্রণোদনার ব্যাখ্যা দেননি, বিশেষত এটি তার প্রিয় পানীয় ডায়েট কোক-এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।

উল্লেখ্য, হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার পর তিনি ওভাল অফিসে আবার সেই বিশেষ বোতামটি বসিয়েছেন যা চাপলে তার জন্য ডায়েট কোক এনে দেওয়া হয়।

কোকা-কোলা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত করেনি। সংক্ষিপ্ত এক বিবৃতিতে তারা জানায় :

‘আমরা আমাদের প্রতীকী কোকা-কোলা ব্র্যান্ড নিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উৎসাহের প্রশংসা করি। শিগগিরই আমাদের কোকা-কোলা পণ্যের নতুন উদ্ভাবনী উপস্থাপনাগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হবে।’

১৯৭০-এর দশকে কর্ন সিরাপ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। কর্ন চাষে সরকারি ভর্তুকি এবং আখের চিনি আমদানিতে শুল্কের কারণে এটি আরও বিস্তৃতভাবে ব্যবহার শুরু হয়।

তবে কর্ন সিরাপ থেকে সরে আসার এই সিদ্ধান্ত মধ্য-পশ্চিমাঞ্চলীয় কর্ন বেল্টের কৃষকদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারে। এই অঞ্চলটি ট্রাম্পের রাজনৈতিক ঘাঁটি হিসেবেও পরিচিত।

এইচএফসিএস ও সুক্রোজ (আখের চিনি) উভয়েই মূলত ফ্রুকটোজ ও গ্লুুকোজ দিয়ে তৈরি। তবে এইচএফসিএস-এ এই দুটি শর্করা আলাদাভাবে থাকে (মিশ্রণে সাধারণত ৫৫% ফ্রুকটোজ ও ৪৫% গ্লুকোজ), আর সুক্রোজে এরা রসায়নিকভাবে একে অপরের সঙ্গে যুক্ত।

২০২২ সালের এক পর্যালোচনা অনুসারে, এই দুটি উপাদানের মধ্যে ওজন বৃদ্ধি বা হৃদ্রোগের ঝুঁকি সম্পর্কিত প্রভাবের পার্থক্য তেমন নয়। তবে এইচএফসিএস গ্রহণকারীদের মধ্যে দেহের প্রদাহের মাত্রা কিছুটা বেশি দেখা গেছে।

তবে, অনেক মার্কিন ভোক্তা মনে করেন আখের চিনিতে তৈরি কোক (যেমন মেক্সিকান কোক) স্বাদে বেশি ‘প্রাকৃতিক’। এজন্য এটি মার্কিন বাজারে উচ্চ দামে বিক্রি হয়।

অন্যদিকে, ট্রাম্পের প্রিয় ডায়েট কোকে ব্যবহৃত হয় অ্যাসপারটেম, যা আন্তর্জাতিক ক্যান্সার গবেষণা সংস্থা (ওঅজঈ) এর মতে একটি ‘সম্ভাব্য কার্সিনোজেন’ (ক্যান্সারের কারণ হতে পারে এমন উপাদান) হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: