ঢাকা | শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১

শেখ হাসিনা জন্ম না নিলে বাঙালি জাতি পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পরতো না : শেখ পরশ

odhikar patra | প্রকাশিত: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৮:৪৬

odhikar patra
প্রকাশিত: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৮:৪৬

ঢাকা, শুক্রবার ২৯ /০৯/২৩  : সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন উপলক্ষে রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে এক অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।  শেখ পরশ বলেন, ‘শেখ হাসিনা জন্ম না নিলে আমরা গণতন্ত্র পেতাম না, সামাজিক ন্যায়বিচার পেতাম না, অর্থনৈতিক মুক্তি পেতাম না, ভোট ও ভাতের অধিকার পেতাম না, একটা মর্যাদাশীল দেশও পেতাম না এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হতো না।’ তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখেছিলেন, বাঙালি জাতি পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। আর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছেন আমাদের নেত্রী, শেখ হাসিনা। আমরা এখন গর্ব করে বলি যে এ দেশে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য প্রায় ৪০ বিলিয়ন টাকা বাজেটে বরাদ্দ রাখা হয়।’ বর্তমান পরিস্থিতির গুরুত্ব ও সংকটের গভীরতার সঙ্গে বিএনপি নেতারা ওয়াকিবহাল না উল্লেখ করে যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিএনপি নেতাদের বলবো, ক্ষমতায় যাওয়ার লিপ্সা পরিহার করেন ও যোগ্যতা বাড়ান।  প্রতিযোগিতায় আসেন। ভোটে যাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেন। যোগ্যতার মাপকাঠিতে শেখ হাসিনার পাশে দাঁড়ানোর দক্ষতা অর্জন করুন।’ তিনি বলেন, ‘নিশ্চয়ই অনুকম্পা করে, বা সমঝোতা করে আপনাদের গদিতে বসানো হবে না। বিদেশিদের কাছে নালিশের রাজনীতি করেও কোনো লাভ হবে না, বরং নিজেদের যোগ্যতা বাড়ান।’ যুবলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে শেখ পরশ বলেন, ‘আমাদের মনে রাখতে হবে, আমরা এমন এক নেত্রীকে অনুসরণ করি যিনি আজীবন ধরে এ দেশের মানুষের জন্য ত্যাগ-তিতিক্ষা করে যাচ্ছেন। আমাদের প্রজন্মকে তার কাছ থেকে ত্যাগের দীক্ষা নিতে হবে। আমি আশা করি এদেশের যুবসমাজ জননেত্রীর দেখানো পথ অনুসরণ করে জনগণের অধিকার আদায়ের প্রশ্নে সর্বদা সোচ্চার থাকবে ও প্রয়োজনে প্রতিবাদী থাকবে। একই সঙ্গে সমসাময়িক চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমরা নিজেদেরকে দক্ষ যুবশক্তি হিসাবে গড়ে তোলার ব্যাপারে মনোনিবেশ করবো।’   

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম বলেন, বিএনপি-জামায়তের সন্ত্রাসীরা কাদের ভয় দেখায়। তাদের কী কোনো আক্কেল নাই। বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাসীদের মোকাবিলা করার জন্য যুবলীগই যথেষ্ট।’ তিনি আরও বলেন, ‘যুবলীগকে দেখলে ভয়ে শয়তানও পালিয়ে যায়, আবার আপনাদের মত শয়তানরা এক দফার ভয় দেখান। মায়া বলেন, ‘হত্যা, ক্যু, ষড়যন্ত্র হলো বিএনপি-জামাতের মূল লক্ষ্য। তারা জানে ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে পারবে না। তারা ভোট ও গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। দেশকে বাঁচাতে হলে শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় আসতে হবে।’

অনুষ্ঠানে সঞ্চালকের বক্তব্যে আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোষেন খান নিখিল বলেন, ‌‘আমরা স্মরণ করে দিতে চাই জাতিকে, স্মরণ করে দিতে চাই, যুব সমাজকে স্মরণ করে দিতে চাই বিদেশি শক্তি ও প্রভুদের যারা বাংলাদেশকে নিয়ে নাড়াচাড়া করছেন। বাংলাদেশকে মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের কথা বলে আপনারা জাতিকে বিভ্রান্ত করছেন। গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের নামে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারকে যারা ভুলূণ্ঠিত করলো, পদদলিত করলো সেই বিএনপি-জামায়াতকে আপনারা বাংলার মানুষের ওপর চাপানোর চেষ্টা করছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আপনাদের ও জাতির উদ্দেশ্যে বলেত চাই-১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর এদেশে প্রথম গণতন্ত্রকে হত্যা ও মানবাধিকারকে লঙ্ঘন করেছে জিয়াউর রহমান। হ্যাঁ-না ভোটের মাধ্যমে জাতির ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল জিয়াউর রহমান। আপনাদের চোখ সেদিকে পড়ে না।’ 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে যুবলীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপ-উপাচার্য (প্রো-ভিসি) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, ‘সামনে যে নির্বাচন, এই নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের উন্নয়নমূলক কাজ ও তথ্য বহুল চিত্র যদি তুলে ধরতে পারেন তাহলে মানুষের মনোজগতে বড় ধরনের পরিবর্তন নিয়ে আসা যাবে। শ্লোগানের পাশাপাশি বিপ্লবী পরিবর্তনের পাশাপাশি, তথ্য বহুল বক্তব্যই হবে আমাদের আগামী দিনের হাতিয়ার।’ 

সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের রোল মডেল হিসেবে পরিণত হয়েছে। কীভাবে মানুষের অধিকার আদায় করতে হয় সেই দীক্ষা দিয়েছেন শেখ হাসিনা।’ তিনি আরও বলেন, ‘দেশকে যারা ধ্বংস করতে চায় তাদের সাথে বঙ্গবন্ধুর সৈনিকেরা, শেখ হাসিনার সৈনিকেরা বসতে পারে না। এই ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।’ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানটিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রো-ভিসি) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: