
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্য অপ্রত্যাশিত বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, ‘গতকাল (রবিবার) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বেগম খালেদা জিয়া যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা অপ্রত্যাশিত। তবে তিনি তার বক্তব্যে শেষ পর্যন্ত অটল থাকতে পারবেন না। কারণ তাকে আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে হবে। তা না হলে তার দল অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে।’ সোমবার (১৩ নভেম্বর) সচিবালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত সিঙ্গাপুর হাইকমিশনার ডেরেক লো’র সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী। রবিবার বিএনপির সমাবেশে দলটির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে কোনও নির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি। কারণ ক্ষমতাসীন দলের অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে না। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে খালেদা জিয়ার এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘ক্ষমতাসীন দলের অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে সম্ভব না— এ বিষয়ে খালেদা জিয়ার পূর্ব-অভিজ্ঞতা আছে। কারণ জিয়াউর রহমানের অধীনে নির্বাচন হয়েছিল। সেটি সুষ্ঠু হয়নি। এটা খালেদা জিয়া দেখেছেন। এছাড়া নির্বাচনে সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দেওয়ার বিষয়েও খালেদা জিয়ার আগের অভিজ্ঞতা রয়েছে। ২০০১ সালে সেটা তিনি দেখেছেন। এটাও তার অভিজ্ঞতা থেকে তিনি বলেছেন। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞায় এটা পড়ে না।’ বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে আর কোনোদিন নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকার আসবে না। বর্তমান সরকারের অধীনেই ইনক্লুসিভ নির্বাচনের আয়োজন হবে। এই নির্বাচনে বিএনপি যদি না আসে, তাহলে নির্বাচন তো আর থেমে থাকবে না। নির্বাচন যথাসময়ে হবে। বিএনপি কোনোদিন নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না। তাদের সেই ক্ষমতা নেই।’ সংলাপ প্রসঙ্গে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘বিএনপির সঙ্গে আর সংলাপ হবে না। কারণ তাদের অনেক সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তারা সেগুলো নিতে পারেনি। তারা আগুন সন্ত্রাস করে দেশের মানুষকে হত্যা করেছেন। কিন্তু তার বিনিময়ে কিছুই অর্জন করতে পারেনি। বরং তারা নিজেদের ক্ষতি করেছে। ভবিষ্যতে যদি তারা এরকম করতে চায়, তাহলে তাদের আরও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।’
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: