
সংসদে বুধবার শেখ হাসিনা বলেছেন, “মানবিক কোনো গুণাবলী যার মধ্যে নেই, তার বক্তব্যকে আমি ধর্তব্যে নিই না। তার কথায় গুরুত্ব দেওয়ার কিছু নেই।”
রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে বি এন পি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় এই মন্তব্য আসে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সম্প্রতি রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে গিয়ে বলেছিলেন, সরকার এই সঙ্কট মোকাবেলায় ব্যর্থ হয়েছে।
সংসদের বুধবারের অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ফজিলাতুন নেসা বাপ্পি এই প্রসঙ্গটি তুলে শেখ হাসিনাকে প্রশ্ন করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, “পাগলে কী না বলে, ছাগলে কী না খায়। চক্ষু থাকতে যে অন্ধ হয়, তাকে দেখাবে কে? দেখেও যে দেখতে পায় না, তাকে দেখানোর কিছু নেই।”
রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শনে খালেদা জিয়ার বিশাল গাড়িবহর নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “তিনি সেখানে যেভাবে সাজসজ্জা নিয়ে ঢোল ঢক্কর, হাতি-ঘোড়া সব নিয়ে গেলেন, তাতে উনি দুর্গত মানুষকে দেখতে গেলেন, না কি কোনো বরযাত্রী হিসেবে গেলেন, না অন্য কোনো কারণে গেলেন, তা আমার কাছে বোধগম্য নয়।”
খালেদাজিয়া র এভাবে যাওয়া লোক দেখানো বলে মনে করেন শেখ হাসিনা।তিনি আরও বলেন, “আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি। প্রতিবেশী দেশের সাথে আমরা সৎভাব রাখতে চাই। আমাদের মাটি ব্যাবহার করে কোনো দেশ, কোনো রকম সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানো, কোনো রকম উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড হতে দেব না, এটা বরদাশত করব না।”
টেকনাফের সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি তার নির্বাচনী এলাকার হ্নীলা, টেকনাথ, সাবরাং, হোয়াইকং ও বাহারছড়া ইউনিয়নের জনগণের দুর্দশার কথা তুলে ধরেন।
এই প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, “এটা সত্য যে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার কারণে স্থানীয় গরিব জনগোষ্ঠী যারা শাকসবজি চাষ করে.. এটা সেটা করে চলত, সেই পথ বন্ধ হয়ে গেছে। স্থানীয় দরিদ্র মানুষের কষ্টের সীমা নেই।
“বিষয়টি আমাদের মাথায় রয়েছে। আমরা এই মানুষগুলোর খাদ্যের ব্যবস্থা করব। তার যেন অভুক্ত না থাকে, সেই ব্যবস্থা করব। ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে খাওয়াতে পারলে ১৫ হাজার মানুষকে খাওয়াতে পারবো না? এত দৈন্য আমাদের নাই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: