ঢাকা | শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২
যুবলীগ অফিসে বাবুর আশু রোগ মুক্তি কামনা

তরুণ্যের বয়স সীমাহীন চাকরীর আবেদনে এ অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে -ওমর ফারুক চৌধুরী

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ১ ডিসেম্বর ২০১৭ ১৭:১৭

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ১ ডিসেম্বর ২০১৭ ১৭:১৭

বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ তারুণ্যের দীপ্ত জয় গানের সংগঠন। যুব মেধা লালন-ধারন এর বিকাশই হলো যুবলীগের অন্যতম লক্ষ্য। যাতে আমরা মেধাভিত্তিক যুক্তিবাদী, বিজ্ঞানময়  যুব সমাজ গড়তে পারি। কালের পরিক্রমায় এই যুব সাংগঠনটি আজ রাষ্টনায়ক শেখ হাসিনার বিশ্ব শান্তির দর্শন জনগনের ক্ষমতায়ন এর পতাকাবাহী সংগঠন এবং রাষ্ট নায়ক শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ, যা জ্ঞান ভিত্তিক ও প্রযুক্তিক বাংলাদেশ যে দর্শনের মূল কথা হলো জনগনের অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জনগনকে ক্ষমতার কেন্দ্রে আনা। জনগনকে সিদ্ধান্ত গ্রহনের মূল ক্ষক্তিতে পরিনত করা। জনগন বলতে দেশের ৪৭ শতাংশ জনগোষ্ঠী যুবশ্রেণীর আওতাভূক্ত এবং এরাই দেশের মূল নিয়ন্তক। তরুনরাই দেশের ভবিষৎ। তরুনরাই আগামীর কাত্তারি।

দেশের মুক্তি, মানুষের মুক্তি, ইতিহাসের চরমতম অপরাধ থেকে জাতিকে মুক্ত করার কাজ কোনদিন পৃথিবীতে ইতিহাসে বিচার বিভাগের মাধ্যমে আলোচনার টেবিলে বলা হয়নি। সাবাই হয়েছে রাজপথে রক্ত দিয়ে। আর যুগে যুগে এই রাজপথে তরুনরাই রক্ত দেয় যুবকরাই রক্ত দেয়। এই তরুনরা/যুবকরা রাজপথে নেমে আসে বলেই তরুনদের যুবকেদের মধ্যমে ইতিহাসের দায় মুক্তি ঘটে। ইতিহাস বিজয়ী হয়। তাই আজ প্রয়োজন এই তরুনদের কথা মানা শুধু সমর্থন চাইলে হবে না। তাদের পরামর্শও নিতে হবে। তাদের সমস্যার কথা শুনতে হবে এর সমাধান করতে হবে। রাষ্ট্র নায়ক শেখ হাসিনা এই তরুনদের জন্য কি কি করেছে, তা তুলে ধরতে হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন আর স্বপ্ন নয় বাস্বব। শিক্ষাব্যবস্থা, তথ্য প্রযুক্তির ব্যাপক সম্প্রসারন ছাড়াও প্রশাসন, ব্যাংকিং, চিকিৎসাসেবা, ব্যবসা-বানিজ্য এবাং গনযোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারে বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষে। প্রতিটি ইউনিয়নে ইন্টারনেট সংযোগ প্রদান করে ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। বাংলাদেশে এখন প্রায় ৪ কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। এই তরুনরাই এই যুবকরাই কৃষিতে নবীন বিপ্লব ঘটিয়েছে। কৃষিকাজ এখন গৃহস্থালি কাজ নয় তার নাম রাষ্ট নায়ক শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ এখন খাদ্য আমদানীর দেশ নয়-খাদ্য রাপ্তানির দেশ। আইলের ধারে বসে ল্যাপটপ চালিয়ে এই তরুন/যুবকরাই কৃষি গবেষনা ইনিস্টিটিউট/কৃষি মন্ত্রনালয়ের কৃষি বিজ্ঞানদের সহযোগিতায় আজ শুধু শীতকালে সবজি নয়-বারো মাস সবজী পাওয়া যায়, তারি নাম রাষ্ট্র নায়ক শেখ হাসিনা। দেখে আসুন-শীতের সবজীর বড় পাইকারী বাজার কাওডার মহাস্থান হাট ফুলকপি, বাঁধাকপি, বেগুন, মূলা, বরকটি, শসা আমনের ভালো দামে কুষ্টিয়ার কৃষকেরা। তাইতো বলি এই বাংলাদেশ তরুনদের যুবকদের, তাই বলি রাষ্ট্র নায়ক শেখ হাসিনা এই তরুনদের যুবকদের। সে কারনে আওয়ামী লীগের চলমান সদস্য সংগ্রহ অভিযানে তরুনদের বিষেশ করে প্রথমবারের ভোটার ও নারীদের গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, কারন দেশে এখন থ্রি জি চালু হয়েছে। ফোর জি আগামী বছরের প্রথমেই চালু হওয়ার কথা হয়েছে। এ ছাড়া বর্তমান সরকার বহু তরুনদের সরকারী  চাকরিসহ কর্কসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে। বিভিন্ন প্রশিক্ষনের মাধ্যমে দেশে তরুনদের উদ্যেক্তায় রূপান্তর করছে। এই বাংলাদেশ আওয়ামীযুবলীগ যেহেতু তরুন যুবকদের প্রতিনিধিত্ব করি আমরা আমাদের সমস্যার কথা বলব-সমাধানরে পথে এগিয়ে নিয়ে যাবার পরিকল্পনা করবেন রাষ্ট্র নায়ক শেখ হাসিনা বাস্তবায়ন করনে রাষ্ট্র-নায়ক শেখ হাসিনা আজ উচ্চকণ্ঠে বলব-এই উচ্চ শিক্ষিত বেকার তরুনরা যাবেন কোথায় ?অন্যদের মতো চাকরির দরখাস্তটি করতে দিন বয়স যেন বাধা না হয়ে দাড়াঁয়। প্রতিযোগিতায় না টিকলে কিছুই বলার নেই। অন্তত প্রতিযোগিতা করার সুযোগটি দেওয়া হোক। আমি এই বি.এ.টি.এল এর চ্যায়ারম্যান হিসেবে ৩০ বছরের কম বয়শীদের হতাশা দেখেছি আবার ৩০ বছরের বেশি বয়সীদের বেদনা ও দেখেছি। এই উচ্চ শিক্ষিত করুন সমাজ আজ সর্বোচ্চ শিক্ষা শেষে পরিবার, সমাজ ও দেশের সম্পদ হওয়ার পরিবর্থে সীমাবদ্ধ সুযোগের কাছে পরাজিত হচ্ছে। পড়াশোনা শেষ হওয়ায় বাবা মায়ের কাছে টাকা চাইতে পারে না, বেকার বলে বন্ধু বান্ধবদের মুখ দেখাতে পারে না। ৩০ এর উর্ধ্বে চাকরির দরখাস্তটি করতে পারেন না বলে তাদের প্রেমিকাকে হারাচ্ছেন, যার সঙ্গে বিয়ের কথা পাকা হয়েছিল বেকারত্বের কারনে প্রেমিকা হারানো কিংবা বিয়ে ভেঙ্গেঁ যাওয়া এ যে কষ্ট। তরুন্য প্রেম আর বাধক্য ভালবাসার এইতো শাস্তি। তাই বলি রাষ্ট্র নায়ক শেখ হাসিনার পরমানবিক। যুগের এই বাংলাদেশ তরুনদের প্রতিবন্ধকর্তা চলবে না।

প্রতিবাদি চেতনাকে ধারন করে ঘুমন্ত প্রতিভাকে তুলে ধরতে চাই। কারন বয়স্ক উপযুক্ত সন্তানকে বশ করা জগতে এত বড় জয় আর নেই এই জয় আনন্দের। আবার আনন্দ ভাগ করলে দুটি জিনিস পাওয়া যায় একটি হচ্ছে জ্ঞান, অপরটি হচ্ছে প্রেম। মনে রাখবেন কল্পনা শক্তি পৃথিবীকে শাসন করে। এই কল্পনাকে শক্তিতে রূপান্তরিক করতে পেরেছেন রাষ্ট্র নায়ক শেখ হাসিনা- তাইতো আজ তিনি মদার অব হিউনিটিটি মানবতার জননী। তাইত তিনি বিশ্বের ৩য় সরকার প্রধান। তাইত তিনি বিশ্বের ৪র্থ কর্মঠ সরকার প্রধান। তাইত তিনি নোবেল লবিয়ট না ওয়েও প্রধান করেছেন নোবেল ওযার্কার হও। তাই আমি বলব রাষ্ট্র নায়ক শেখ হাসিনার বিশ্ব শান্তির দর্শন জনগনের ক্ষমতায়ন বাস্তবায়নে চাই তারুন্যের বয়স সীমাহীন চাকরীর আবেদনের অধিকার। আমরা তরুনদের গভীর ভালোবাসা চাই ভালোবাসা আমাদের শক্তি দেবে। তাইত বলি ভালোবাসতে শেখো, ভালোবাসা দিতে শেখো তাহলে জীবনে ভালবাসার অভাব হবে না। রাষ্ট্র নায়ক শেখ হাসিনা তরুনদের ভালোবাসা পেলে জনগনের ক্ষমতায়ন বাস্ববায়ন হবে।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: