
গতকাল শুক্রবার দশম সংসদ নির্বাচনের চতুর্থ বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে এমন্তব্য করেন ।আগামী নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে মন্তব্য করে এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে দেশবাসী ও নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং আরো নেতা কর্মীরা। তারা বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন প্রতিহতের নামে বিএনপি-জামায়াত সারাদেশে ধ্বংসযজ্ঞ ও নৈরাজ্য চালিয়েছিল। এই অপশক্তি আবারও কোনো ষড়যন্ত্র করলে তাদের দাঁতভাঙা জবাব দিতে হবে।
উক্ত অনুষ্ঠানে তারা আরও বলেন, ৫ জানুয়ারি বিএনপির রাজনৈতিক আত্মহত্যা দিবস। আগামী নির্বাচনেও না এলে তাদের আরেকটি রাজনৈতিক আত্মহত্যা হবে। বিরল প্রাণীর মতো বিএনপি বিলুপ্ত হয়ে যাবে। তাদের অবস্থা মুসলিম লীগের চেয়েও খারাপ হবে। গণতন্ত্র ও সংবিধান রক্ষায় ৫ জানুয়ারির ওই নির্বাচন অপরিহার্য ছিল মন্তব্য করে নেতারা বলেন, ওই নির্বাচন না হলে গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ধ্বংস হতো। সংবিধান ও গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্যই সেদিন ওই নির্বাচন হয়েছিল। এ নির্বাচনের মাধ্যমে সেদিন কেবল গণতন্ত্র রক্ষাই পায়নি, সাংবিধানিক শাসনও সুরক্ষিত হয়েছিল।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দুই জনসভায়ই প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন। তিনি বলেন, ৫ জানুয়ারি গণতন্ত্রের বিজয় দিবস। বিএনপির জন্য রাজনৈতিক আত্মহত্যা দিবস। জনগণ দিনটিকে জনগণ ও গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি বিজয় দিবস হিসেবে পালন করছে। অন্যদিকে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি রাজনৈতিক আত্মহত্যা দিবস হিসেবে পালন করছে। আগামী নির্বাচনে অংশ না নিলে বিএনপিকে আবারও রাজনৈতিক আত্মহত্যা করতে হবে। সময় ও স্রোত কারও জন্য অপেক্ষা করে না। আগামী নির্বাচনও কারও জন্য অপেক্ষা করবে না। নির্বাচনী ট্রেন বিএনপির স্টেশনে থামবে না। নির্বাচনে অংশ না নিলে বিরল প্রাণীর মতো বিলুপ্ত হয়ে যাবে তারা। পৃথিবীতে অনেক রাজনৈতিক দল বিলুপ্ত হয়ে গেছে। রাজনৈতিক দল হিসেবে মুসলিম লীগ অনেক সংকুচিত। আগামী নির্বাচনে না এলে বিএনপির অবস্থা মুসলিম লীগের চেয়েও খারাপ হবে। ‘বিএনপিকে ছাড়া নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না’- বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের এমন বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে। সাধ্য থাকলে ওই নির্বাচন ঠেকাতে আসুন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি পারেননি। এবারও ককটেল, পেট্রোল বোমা মেরে সন্ত্রাসের মাধ্যমে নির্বাচন ঠেকানোর চেষ্টা করলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলার জনগণ সারাদেশে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।
আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে আবারও বিজয়ী করতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, গণতন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও স্বাধীনতার আদর্শকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হলে আবারও শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নৌকা আগামী নির্বাচনে সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে পরাজিত করে বিজয়ী হবে ।
বনানী পূজা মাঠের জনসভায় আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি এ কে এম রহমতুল্লাহ এবং বঙ্গবন্ধু এভিনিউর জনসভায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আবুল হাসনাত সভাপতিত্ব করেন। দুটি জনসভায় আরও বক্তব্য রাখেন অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, এ কে এম এনামুল হক শামীম, হাবিবুর রহমান সিরাজ, ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, দেলোয়ার হোসেন, আমিনুল ইসলাম আমিন, সাদেক খান, শাহে আলম মুরাদ, সাইফুর রহমান সোহাগ, এস এম জাকির হোসাইন, ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা, সাবিনা আক্তার তুহিন প্রমুখ।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: