ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১

ইবিতে বৈষম্যবিরোধী বিক্ষোভ ও ছাত্র সমাবেশ

ওয়াসিফুর রহমান, ইবি প্রতিনিধি | প্রকাশিত: ২ জুলাই ২০২৪ ১৭:০৭

ওয়াসিফুর রহমান, ইবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২ জুলাই ২০২৪ ১৭:০৭

ওয়াসিফুর রহমান, ইবি প্রতিনিধি : ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে বিক্ষোভ ও ছাত্র সমাবেশ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) বেলা ১১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়না চত্ত্বরে বিভিন্ন বিভাগ ও শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের উপস্থিতে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় শিক্ষার্থীরা আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার। জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্র সমাজ জেগেছে। লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে। আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম। মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁয় নাই- ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, আপনারা জানেন পূর্বেও একটি বৈষম্যমূলক সমাজ ব্যবস্থা কায়েম করেছিল বাংলাদেশে। মানুষ এই সমাজ ব্যবস্থা থেকে বের হওয়ার জন্য লড়াই করেছে। কিন্তু আমরা এখন নব্য এক বৈষম্যবস্থা দেখতে পাচ্ছি, এই বৈষম্য থেকে বের হওয়ার জন্য নেতৃত্ব দিচ্ছে আপামর ছাত্রসমাজ।

এসময় ছয় দফা দাবি উত্থাপন করে বলেন, কোটা পদ্ধতি বাতিল এবং মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে। ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করতে হবে। অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে এবং কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে। এক্ষেত্রে সংবিধান অনুযায়ী শুধুমাত্র অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে। সরকারি এবং নিয়োগ পরীক্ষায় একাধিকবার কোটা ব্যবহার করা যাবে না। কোটাধারি শিক্ষার্থী পাওয়া না গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে। দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ, মেধা ভিত্তিক ও আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

সরকার সহ দায়িত্বরতদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনারা অনুগ্রহ করে ২০১৮ সালের মতো করবেন না। বাংলাদেশে ছাত্র সমাজ, গুণীজন, বিশ্লেষক ও শিক্ষাবিদদের সাথে সমন্বয় করে একটি সুষ্ঠু সমাধান বের করবেন। যদি আপনারা ব্যর্থ হন তাইলে বাংলাদেশের আপামর ছাত্র সমাজ, জনসাধারণ যেমন ১৯৫২ ও ১৯৭১ এ জেগে উঠেছিল তেমনি পূনরায় গণজাগরণের ডাক দিবে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: