প্রতিবেশী হিসেবে বাংলাদেশের মতো একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রের জনগণের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়তে হলে ভারতের শাসকগোষ্ঠীকে অবশ্যই ইসরাইলি আচরণ পরিহার করতে হবে বলে জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।
ভারতের উত্তর প্রদেশের সামভালে সম্প্রতি একটি ঐতিহ্যবাহী মসজিদ দখলের বিরোধিতা করে স্থানীয় মুসল্লিরা প্রতিবাদ জানালে পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালায়। গুলিতে তিন মুসল্লি নিহত হওয়ার কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব আল্লামা শায়েখ সাজেদুর রহমান এক যৌথ বিবৃতিতে এই প্রতিবাদ জানান।
বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘ভারতের উত্তর প্রদেশের সামভালে কয়েক শতাব্দীর পুরনো একটি ঐতিহাসিক জামে মসজিদের জমি দখলের নয়া চক্রান্ত শুরু করেছে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা। এতে স্থানীয় মুসল্লিরা বাধা দিতে গেলে তাদের ওপর নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে মুসলিমবিদ্বেষী ফ্যাসিস্ট যোগী আদিত্যনাথের পুলিশ বাহিনী। এতে তিন মুসলিম শহিদ হন। এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ডের আমরা কড়া প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, যাদের হাতে নিজ দেশের নাগরিকের রক্ত লেগে আছে, তাদের আমরা প্রতিবেশী হিসেবে ভাবতে লজ্জা পাই। বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়তে হলে ভারতকে অবশ্যই তার দেশের সংখ্যালঘু মুসলিমদের ওপর দমন-পীড়ন ও খুনযজ্ঞ বন্ধ করতে হবে।
তারা বলেন, ভারতের শাসকগোষ্ঠী প্রতিবেশী দেশ থেকে পালিয়ে আসা গণহত্যাকারী ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে বন্ধু হিসেবে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশের জনগণের সাথে আবারো শত্রুতার পরিচয় দিয়েছে। ভারতকে তার সামগ্রিক ফ্যাসিবাদি ও আধিপত্যবাদি নীতি বদলাতে হবে। প্রতিবেশী রাষ্ট্রে দাঙ্গা লাগানোর উসকানি ও মদদ দেয়া থেকেও বিরত থাকতে হবে তাদের।
তারা আরো বলেন, ভারতে হরহামেশা মুসলমানদের মসজিদ ও বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। ইসরাইলি কায়দায় মুসলমানদের জমি দখল করা হচ্ছে। বাবরি মসজিদকে নৃশংসভাবে শহিদ করা হয়েছিল। জ্ঞানবাপী মসজিদের জমি দখল নিয়েও হিন্দুত্ববাদিদের চক্রান্ত চলমান। এসব বন্ধে ভারতের শাসকগোষ্ঠীকে উদ্যোগ নিতে হবে। তা নাহলে দক্ষিণ এশিয়ার কোনো প্রতিবেশী রাষ্ট্রই ভারতকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করতে পারবে না।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: