
নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, চট্টগ্রাম বন্দরের ‘বে মাল্টিপারপাস টার্মিনাল নির্মাণ’ প্রকল্পটি ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্পভুক্ত করার বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে।
আজ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নের অগ্রগতি সংক্রান্ত এক সভায় তিনি একথা বলেন।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মোঃ আবদুস সামাদসহ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন সংস্থার প্রধানগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জানানো হয় যে, এডিপির ২৫টি প্রকল্পের মধ্যে বিআইডব্লিউটিএ’র ১০টি, বিআইডব্লিউটিসি’র দু’টি, মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ৩টি, বাংলাদেশ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের ৫টি, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের দু’টি, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের একটি, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের একটি এবং বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের (বিএসসি) একটি এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নে ১০টি প্রকল্পের মধ্যে বিআইডব্লিউটিএ’র একটি, বিআইডব্লিউটিসি’র ৪টি, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের ৪টি ও বিএসসির একটি প্রকল্প।
শাজাহান খান, লাইটার জাহাজের জন্য জেটি নির্মাণসহ প্রয়োজনীয় ক্রেন ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি সংগ্রহের লক্ষ্যে নতুন প্রকল্প গ্রহণ করতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। এছাড়া প্রয়োজনীয়তার নিরিখে প্রকল্প প্রণয়নে উদ্যোগ ও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ব্যবস্থা নিতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সংস্থাসমূহের প্রধানদেরও নির্দেশনা প্রদান করেন।
মন্ত্রী ওয়ার্ক প্ল্যান ও প্রকিউরমেন্ট প্ল্যান অনুযায়ি প্রকল্পের কাজ মনিটরিং করতে প্রকল্পের পরিকল্পনা অনুযায়ী ক্রয় পরিকল্পনার অন্তর্ভুক্ত সকল দরপত্র ফেব্রুুয়ারি মাসের মধ্যে শেষ করতে প্রকল্প কর্মকর্তাদের বলেন।
উল্লেখ্য, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সংস্থাসমূহের মাধ্যমে চলতি অর্থবছরে (২০১৭-১৮) বাস্তবায়নাধীন ৩৫টি প্রকল্পের অনুকূলে বরাদ্দকৃত ২ হাজার ৮০৬ কোটি ২৫ লাখ টাকার বিপরীতে ডিসেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত ৭৫৩ কোটি ২৩ লাখ টাকা ব্যয় করেছে, যা বরাদ্দের ২৬ দশমিক ৮৪ ভাগ। ডিসেম্বর পর্যন্ত জাতীয় গড় ২৭ দশমিক ০২ ভাগ।-খবর বাসসের
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: