ঢাকা | সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে কফি আনান কমিশনের পূর্ণ বাস্তবায়ন চায় সুইজারল্যান্ড

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১৯:৩২

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১৯:৩২

সফররত সুইস প্রেসিডেন্ট আঁলা বেরসে কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও সম্মানজনক প্রত্যাবাসনের মাধ্যমে এই সংকট সমাধানে কফি আনান কমিশন রিপোর্টের পূর্ণ বাস্তবায়নের আহবান জানিয়েছেন। 


আজ মঙ্গলবার দুপুরে কক্সবাজারের উখিয়ায় কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই আহ্বান জানান। 
আঁলা বেরসে জানান কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশের সঙ্গে সুইজারল্যান্ড কাজ করবে।

বেরসে মিয়ানমার থেকে আগত শরণার্থীদের স্বাগত জানানো এবং আশ্রয় দেয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের আপ্রাণ প্রচেষ্টার ভূয়সী প্রশংসা করেন। স্বেচ্ছায়, নিরাপদে এবং সম্মানের সাথে শরণার্থীদের তাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে দেয়ার ওপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি ক্যাম্পে বসবাসরত নারী ও শিশুদের পরিস্থিতি এবং তরুণ প্রজন্মের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তাদের বাড়তি নিরাপত্তার উপর জোর দেন। 


তিনি বলেন, বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ যে মহানুভবতার পরিচয় দিয়েছে, তা নজিরবিহীন। এ জন্য বাংলাদেশ আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসা ও সম্মান পেয়েছে। 


তিনি বলেন, এতো বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গার ভরণ-পোষণ বাংলাদেশের একার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই রোহিঙ্গা সংকটে ত্রাণ সহায়তাসহ নানা তৎপরতার মাধ্যমে সুইজারল্যান্ড সরকার আন্তরিকভাবে বাংলাদেশের পাশে রয়েছে। 
আঁলা বেরসে একটি বিশেষ বিমানযোগে ঢাকা থেকে মঙ্গলবার সকাল ১১টায় কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। সেখান থেকে তিনি কক্সবাজার সদর হাসপাতালে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) স্থাপিত রোহিঙ্গা ইউনিট পরিদর্শন করেন।


তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন রোহিঙ্গা রোগীদের সাথে কথা বলেন এবং চিকিৎসা ব্যবস্থার খোঁজ-খবর নেন। 


বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তিনি উখিয়ার কুতুপালং পৌঁছে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। সুইস রাষ্ট্র প্রধান কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-৪ ব্লকে একটি মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা কার্যক্রম প্রত্যক্ষ করেন। পরে তিনি ডি-৫ ব্লকে রোহিঙ্গাদের জন্য ত্রাণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। সেখানে তিনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। এসময় তিনি বেশ কয়েক জন রোহিঙ্গার সঙ্গে। 


সুইস প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ এম মাহমুদ আলী, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এবং দু’দেশের প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, আইওএম ও ইউএনএইচসিআরসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।-খবর বাসসের 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: