ঢাকা | সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২

খালেদা জিয়া বুঝতে পেরছে এতিম এর টাকা মেরে খেলে শাস্তি হবে , রাষ্ট্রপতি উদার ক্ষমা ভিক্ষা চাইলে করতে পারে - কাদের

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৩:১৭

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৩:১৭

আমাদের অধিকারপত্র ডটকমঃ সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায়ের পর রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে ক্ষমা চাইলে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ক্ষমা পেতে পারেন।

রায়ের আগের দিন খালেদা জিয়ার সংবাদ সম্মেলনের পর সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘রায়ের আগে সংবাদ সম্মেলন পৃথিবীতে বিরল। বাংলাদেশেও এমনটা এর আগে হয়নি। তিনি রায়ের আগে সংবাদ সম্মেলন করে, মিথ্যাচার ও উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে আদালতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন।’

খালেদা জিয়ার উদ্দেশ্যে ওবায়দুল বলেন, ‘এত হতাশ হওয়ার কী আছে? এই রায়ের পর আপিল করার ব্যাপার আছে। তা না হলে রাষ্ট্রপতি আছেন। আমাদের রাষ্ট্রপতি তো উদার। তার কাছে ক্ষমা চাইলে তিনি মাফ করে দিতে পারেন। আমি মনে করি, তিনি মাফ করে দিবেন।’

‘সংবাদ সম্মেলনে বেগম খালেদা জিয়া বিএনপি নেতাকর্মীদের বলেছেন যে, সেনাবাহিনী, পুলিশ বাহিনীতে তথা সমস্ত প্রশাসনিক জায়গায় তাদের লোক আছে। তারা যেন ভয় না পায়। আমার কথা হলো তিনি এবং তার নেতারা তাহলে কেন ভয় পাচ্ছেন? এসব কথা বলা যে, অন্যায়, এটাও কী তিনি বোঝেন না?’

খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘‘বিএনপি নেত্রী বলেছেন, এই রায় প্রধানমন্ত্রী লিখে দিয়েছেন। এটা কী আদালত অবমাননা নয়? তিনি বলেছেন, আদালত যদি ইতিবাচক রায় দেন, তাহলে মেনে নেবেন। না হলে আন্দোলন করবেন। এই বক্তব্য রায়ের আগে দেওয়া কী আদালত অবমাননা নয়?’

‘রায়কে আইনিভাবে মোকাবিলা না করে, আদালতের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন না করে, আইনিভাবে মোকাবিলার কথা না বলে, অপরাজনীতির কৌশল অবলম্বন করেছেন। নিজের অপরাধকে ঢাকার জন্য পুরো জাতিকে জিম্মি করে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন।’

রায়ের দিনে আওয়ামী লীগের ভূমিকা নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জনগণের রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে জানমালের নিরাপত্তা দিতে আওয়ামী লীগ বদ্ধ পরিকর। আমরা কোনো প্রকার ষড়যন্ত্রে বিশ্বাস করি না, প্রতিহিংসা করি না। কাউকে তা করতেও দেওয়া হবে না। তাদের বোঝা উচিত যে, ষড়যন্ত্র করে, সংবাদ সম্মেলনে মায়াকান্না করে সহিংসতা করে দুর্নীতি ঢাকা যায় না।’

এই রায়কে কেন্দ্র করে সারা দেশের সংখ্যালঘু ও সাধারণ মানুষের ওপর হামলা হলে আওয়ামী লীগ কী ব্যবস্থা নেবে জানতে চাইলে ওবায়দুল সাংবাদিকদের বলেন, ‘পুলিশের কাছে কিছু ইনফরমেশন আছে। সে অনুযায়ী ইতোমধ্যে প্রশাসন কাজ করছে। কোনো রকম অন্যায় আচরণ সহ্য না করার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছি।’
পুলিশ জনগণের বন্ধু, দেশে শান্তি বজায় রাখাতে তারা যথার্থতার পরিচয়ই দিবেন।

উক্ত সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মুকল বোস, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, সাংস্কৃতিকবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক শামসুন্নাহার চাঁপা, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, উপ-দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এস এম কামাল, আনোয়ার হোসেনসহ আরও অনেকেই।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: