
অতিদ্রুত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খানকে স্মারকলিপি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।
আজ রোববার সকালে উপাচার্যের কার্যালয়ে নিয়াজ আহমদ খানের কাছে এই স্মারকলিপি দেন শিক্ষার্থীরা।বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সাইমা হক বিদিশা এ স্মারকলিপি গ্রহণ করেন।
স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা বলেন, স্বৈরাচারের ধ্বংস করে রেখে যাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কাঠামোকে নৈতিকতার ভিত্তিতে পুনরায় বিনির্মাণের যে চ্যালেঞ্জ আপনারা নিয়েছেন এবং ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছেন তাতে আমরা সর্বক্ষণ পাশে আছি। আট মাস পেরিয়ে গেলেও ডাকসু নির্বাচন না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, অভ্যুত্থানের প্রায় আট মাস পেরিয়ে গেলেও আমাদের প্রাণের দাবি ডাকসু নির্বাচনের কোনো রূপরেখা আমরা আজও পাইনি। ডাকসুর রূপরেখার দাবিতে আমরা দীর্ঘদিন আন্দোলন করে আসছি। ডাকসু নির্বাচন নিয়ে এক ধরনের ভয়াবহ গড়িমসি আমরা লক্ষ করছি।
শিক্ষার্থীরা স্মারকলিপিতে বলেন, আমরা গত আগস্টে শুনেছিলাম ৩-৪ মাসের মধ্যে ডাকসু নির্বাচন আয়োজন করা হবে অথচ ৮ মাস অতিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও এখনো ডাকসু নির্বাচনের কোনো রোডম্যাপই আমরা পাইনি।
ডাকসুর প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে স্মারকলিপিতে বলা হয়, বাংলাদেশের এই স্বাধীনতাকে চিরস্থায়ী করতে, পতিত স্বৈরাচারের উত্থান রুখে দিতে এবং নব্য স্বৈরাচার প্রতিরোধ, দেশের মানুষের গণ অধিকার প্রতিষ্ঠা, স্থায়ীভাবে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ সম্মত ক্যাম্পাস বিনির্মাণ, লেজুড়বৃত্তিক ভয়াবহ দলীয় ছাত্র-রাজনীতির করাল গ্রাস থেকে ক্যাম্পাস নিরাপদ রাখা ও শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায় করতে ডাকসুর বিকল্প নেই।
ডাকসু নির্বাচন দিতে গড়িমসি করলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে আমরা ডাকসু নির্বাচনের রূপরেখা চাই। আমরা নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কখনো স্মারকলিপি, কখনো বিক্ষোভ মিছিল কিংবা কখনো প্রশাসনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ডাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপের দাবি করেছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি আমাদের নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতির চর্চার প্রতি শ্রদ্ধা দেখাতে ব্যর্থ হয় এবং ডাকসু নির্বাচন নিয়ে গড়িমসি প্রদান করা অব্যাহত রাখে তাহলে আমরা ডাকসুর দাবি আদায়ে কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: