
ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর গণহত্যার প্রতিবাদে বৈশ্বিক ধর্মঘট কর্মসূচি চলাকালে সিলেটের বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় পুলিশ আরও ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
আজ বুধবার রাতে বাসসকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) উপকমিশনার (এসবি) আফজল হোসেন।
তিনি জানান, হামলায় জড়িতদের ধরতে সিটি টিভি ফুটেজ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়েপড়া বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিশ। এসব ভিডিও ও ছবি বিশ্লেষণ করে বাটা ও কেএফসিসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে হামলাকারীদের চিহ্নিত এবং গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের মামলা করতে আমরা উৎসাহিত করছি। এখন পর্যন্ত রয়েল মার্ক হোটেল কর্তৃপক্ষ মামলা করেছেন। একটি সাধারণ ডায়রি হয়েছে। অন্যরা এখনও মামলা করেননি।
সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. রেজাউল করিম বলেন, নগরজুড়ে বিভিন্ন স্থানে গত সোমবার যেসব হামলার ঘটনা ঘটেছে এর সঙ্গে জড়িত কাউকেই ছাড় দেয়ার সুযোগ নেই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর গণহত্যার প্রতিবাদে সিলেট নগরে সাধারণ মুসল্লিরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। এই সুযোগে একদল অতি উৎসাহি ও বিশৃংখলাকারী পরিকল্পিতভাবে বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে ইসরাইলি পানীয় রাখার অজুহাতে কয়েকটি রেস্টুরেন্ট ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও লুটতরাজ করে।
এই ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। মঙ্গলবার ১৪ জন এবং বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত মোট ২১ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: