
রোববার ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি বলেছেন, এক ব্রিটিশ আইনপ্রণেতাকে হংকংয়ে প্রবেশ করতে না দেওয়ায় তিনি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
জরুরি ভিত্তিতে চীন সরকারের কাছে বিষয়টি উত্থাপন করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
লন্ডন থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
১৯৯৭ সালে সাবেক এই ব্রিটিশ উপনিবেশটি চীনের কাছে হস্তান্তরের পর থেকে তিনিই প্রথম ব্রিটিশ এমপি, যাকে হংকংয়ে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন ওয়েরা হবহাউস।
হবহাউস চীন বিষয়ক আন্তঃসংসদীয় জোটের সদস্য।
চীন বিষয়ক আন্তঃসংসদীয় জোট তাদের ওয়েবসাইটে বলেছে ‘আইপ্যাক’ বিশ্বব্যাপী আইন প্রণেতাদের ঐক্যবদ্ধ করে। গণতন্ত্রের প্রচার করে এবং চীনের উত্থানের ফলে সৃষ্ট নিয়ম-ভিত্তিক ও মানবাধিকার ব্যবস্থার প্রতি হুমকি মোকাবেলা করে।
সানডে টাইমস পত্রিকা জানিয়েছে যে, ৬৫ বছর বয়সী হবহাউস বৃহস্পতিবার তার নবজাতক নাতির সাথে দেখা করতে ব্যক্তিগত ভ্রমণে হংকং গিয়েছিলেন।
পত্রিকাটি বলা হয়েছে যে, তার পাসপোর্ট জব্দ করা হয়েছে। তার কাজ ও তার ভ্রমণের উদ্দেশ্য সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে। তার লাগেজ তল্লাশি করা হয়েছে এবং তারপর তাকে বোর্ডিং গেটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ব্রিটিশ সাপ্তাহিক পত্রিকা তার বক্তব্য উদ্ধৃত করে বলেছে, ‘যখন আমাকে বাধা দেওয়া হয়, তখন আমার কণ্ঠস্বর কাঁপছিল এবং আমি কেবল বলছিলাম- ‘কেন, দয়া করে আমাকে ব্যাখ্যা করুন?’
হবহাউস ব্লুস্কাইকে বলেন, ‘১৯৯৭ সালের পর আমিই প্রথম এমপি, যাকে হংকংয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ আমাকে এই নিষ্ঠুর ও বিরক্তিকর আঘাতের জন্য কোনও ব্যাখ্যা দেয়নি’।
আমি আশা করি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্বীকার করবেন যে- এটি সকল সংসদ সদস্যের প্রতি অপমান এবং এর উত্তর চাইবেন।
এএফপি এই বিষয়ে মন্তব্যের জন্য হংকং সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।
ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির দুই ব্রিটিশ এমপিকে ইসরাইলে প্রবেশে বাধা দেওয়ার এক সপ্তাহ পর এটি ঘটল।
হবহাউস ২০১৭ সাল থেকে ছোট বিরোধী দল লিবারেল ডেমোক্র্যাটদের সংসদ সদস্য।
ল্যামি বলেন, ‘ব্যক্তিগত ভ্রমণে থাকা একজন এমপিকে হংকংয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না, শুনে আমি খুবই উদ্বিগ্ন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা জরুরি ভিত্তিতে হংকং ও চীন সরকারের কাছে এটি উত্থাপন করব এবং ব্যাখ্যা দাবি করব।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: