দুই মিনিটের ঐ ভিডিওতে ৩৬ বছর বয়সি সানা মারিনকে স্থানীয় কয়েকজন ইনফ্লুয়েন্সার ও শিল্পীদের সঙ্গে গাইতে ও নাচতে দেখা গেছে৷
ভিডিওটি একটি ব্যক্তিগত ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে প্রকাশ করা হয়েছিল৷ কয়েক সপ্তাহ আগে করা দুটি পার্টির ভিডিও ক্লিপ একসঙ্গে জোড়া দিয়ে ভিডিওটি ছাড়া হয়েছে বলে জানান মারিন৷
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে মাত্র ৩৪ বছর বয়সে প্রধানমন্ত্রী হওয়া মারিন বলেন, তিনি জানতেন যে ভিডিও করা হচ্ছে৷ তবে কখনো ভাবেননি যে এগুলো প্রকাশ্যে আসবে৷ ‘‘ভিডিওগুলো প্রাইভেট৷ এগুলো প্রকাশ্যে আসার সমালোচনা করছি আমি,'' সাংবাদিকদের বলেন মারিন৷
ভিডিওটি কারা ফাঁস করলো তা জানেন না মারিন৷ তিনি বলেন, পার্টিতে অংশগ্রহণকারীরা অ্যালকোহল পান করেছেন৷ তবে তার জানামতে কেউ মাদক নেয়নি৷
প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব ও ব্যক্তি জীবনের মধ্যে সমন্বয় করতে পারায় ফিনল্যান্ডের অনেকেই মারিনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন৷ তবে দেশটির ‘হেলসিঙিন সানোমাট' দৈনিক মারিনের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে৷ ‘‘মারিন হয়ত সরল বিশ্বাসে কাজটি করেছেন৷ কিন্তু তার এতটা বিশ্বাস করা ঠিক হয়নি,'' সম্পাদকীয়তে লিখেছে পত্রিকাটি৷ ‘‘(স্পর্শকাতর সময়ে) যারা ফিনল্যান্ডের ক্ষতি করতে চায় প্রধানমন্ত্রী (এভাবে) তাদের হাতে তথ্য অস্ত্র তুলে দিতে পারেন,'' বলছে দৈনিকটি৷
এদিকে, আগামী এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে ফিনল্যান্ডে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা৷সেটিকে লক্ষ্য করে এই ভিডিও প্রকাশ একটি পাবলিসিটি স্টান্ট বলেও কেউ কেউ মনে করছেন৷ তবে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন মারিন৷
গত জানুয়ারিতে মারিন রয়টার্সকে বলেছিলেন, তিনি ও মন্ত্রিসভায় থাকা নারী সদস্যরা অনেক বেশি হেট স্পিচের শিকার হচ্ছেন৷
ডয়েচে ভেলে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: