-2018-03-10-20-36-03.jpg)
আব্দুর রাহিম, শেরপুর(বগুড়া)প্রতিনিধিঃ
বগুড়া শেরপুরে খানপুর ইউনিয়নে বাড়ির কর দিতে না পারায় ১
হাজার ৪’শ ৩৮ জনের অধিকাংশ হত দরিদ্রদের ভাগ্যে মিলছে না
সরকার খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির বরাদ্দকৃত ১০ টাকা কেজি চাউল।
গত বুধবার দুপুরে উপজেলার খানপুর ইউনিয়নে সরেজমিনে গিয়ে
দেখা যায়, বাড়ির কর দিতে না পারায় হত দরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকৃত
সরকারি খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ১০ টাকা কেজির চাউল দেয়া
হচ্ছে না। অনেকেই চাউল নিতে গিয়ে খালি হাতে ফিরে এসেছে।
ভূক্তভোগীদের মধ্যে গোপালপুর গ্রামের তোজাম, খানপুরের
সিদ্দিক, খাগা আশ্রমপাড়ার তাপস চন্দ্র শীল, শৈলাপাড়ার ছহিরন
সহ অনেকেই ধার দেনা করে বাড়ির খাজনা পরিশোধ করে চাউল
উত্তোলন করেছে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক সমালচনার সৃষ্টি
হয়েছে। তালপুকুরিয়া গ্রামের ভূক্তভোগী ছইমুদ্দিন ও আব্দুল
মালেক, খাগা গ্রামের চান মিয়া, ছাতিয়ানী’র আজাহার
জানায়, ইউনিয়ন পরিষদে বাড়ির কর দিতে না পারার জন্য আমাদের ১০
টাকা কেজির চাউল দেয়া হয়নি। ১০ টাকা কেজির চাউল কেনাই
যেখানে দায় সেখানে বাড়ির করের টাকা এখন কোথায় পাই!
এ বিষয়ে খানপুর ইউনিয় পরিশোধের সচিব অছিমুদ্দিন হোসেন
বলেন, তারা ইউনিয়ন পরিশোধগত ভাবে এই করের টাকা আদায়ে
মাইক প্রচার সহ ১৩ ফেব্রæয়ারী থেকে বাড়ি বাড়ি কর আদায়ের
কার্যক্রম শুরু করেছেন। এক্ষেত্রে যারা এই চাল উত্তোলনে ডিলারদের
কাছে আসছে তাদেরকেও এই করের টাকা পরিশোধের জন্য উদ্বুদ্ধ
করছে।
এ ব্যাপারে খানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম
রাঞ্জু বলেন, আমার ইউনিয়নে দুটি ডিলারের মাধ্যমে মোট
১হাজার ৪’শ ৩৮জন হতদরিদ্ররা এ সেবা পাবে। তবে বাড়ির কর নেয়া
প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার ইউনিয়নে কর্মরত ট্যাক্স আদায়কারীরা
নিয়মিত কর আদায় ও উৎসাহ বাড়াতে প্রচারণা চালিয়ে আসছে।
হয়তো বা আজ চাউল বিতরণকালে লোকজনের জমাট দেখে তারাই
বলেছে। তাছাড়া আমি কোন চাউল বিতরণের সাথে কর প্রদানের
কোন নির্দেশ দেইনি।
শেরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সিরাজুল ইসলাম এর
সাথে কথা বললে তিনি জানান, করের সাথে ১০ টাকা কেজির
চাউলের কোন সম্পর্ক নেই। কেউ এমন কাজ করে থাকলে তার
বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: