
বরগুনায় দু’টি জাহাজ নির্মাণ ও প্রক্রিয়াকরণ শিল্প স্থাপিত হচ্ছে
আমীর হোসেন আমু বলেন, বরগুনার তালতলী উপজেলার তেতুলবাড়িয়া এলাকার সমুদ্রবন্দর সংলগ্ন পায়রা নদীতে দুইটি পৃথক জাহাজ নির্মাণ ও প্রক্রিয়াকরণ শিল্প স্থাপনের প্রক্রিয়া চুড়ান্ত হয়েছে।
এরপর “বরগুনা হবে দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম বানিজ্যিক জোন।”
জেলার তালতলী উপজেলার তেতুলবাড়িয়ায় জাহাজ নির্মাণ ও জাহাজ ভাঙা প্রক্রিয়াকরণ শিল্প স্থাপনের স্থান পরিদর্শন শেষে তিনি একথা বলেন। এ সময়ে তার সাথে ছিলেন, নৌ-পরিবহনমন্ত্রী মো. শাহজাহান খান ও বরগুনা ১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড. ধীরেন্দ্র দেবনাথ শমভু।
বরগুনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. নুরুজ্জামান জানিয়েছেন, এ আগে শনিবার বরগুনার পুলিশ ও জেলা প্রশাসন প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করে এলাকার ভুমির মালিক ও জনসাধারণকে এর সুফল সম্পর্কে অবহিত করেছেন।
খুলনা শিপইয়ার্ড এর সম্প্রসারিত অংশ হিসাবে ১৬২ একর এবং বাংলাদেশ ই¯পাত ও প্রকৌশল কর্পোরেশনের মাধ্যমে ১০৫ একর জমিতে পৃথক দু'টি ভারী জাহাজ নির্মাণ ও জাহাজ ভাংগা শিল্প কারখানা বাস্তবায়নের জন্য আটশ’ কোটি টাকা অনুমোদন এবং বিএসইসি এর মাধ্যমে ১৮ কোটি ৯০ লাখ টাকার সম্ভাব্যতা নিরীক্ষা যাচাই শেষ হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনাপত্তিসহ জমির পজিশন, ভৌগলিক অবস্থা, ইকোলজি, বায়োডাইভারসিটি ইত্যাদি বিষয়ে ইতিবাচক মতামত প্রদান করা হয়েছে। নৌ বাণিজ্যের সুযোগ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ৫০/৬০ হাজার টন ধারণ ক্ষমতার জাহাজ প্রস্তুত ও রিসাইকেল প্লান্ট তৈরীর জন্য এটা বিশাল ভুমিকা রাখবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত আগ্রহে পায়রা সমুদ্রবন্দর সংলগ্ন এলাকায় এই বিশেষায়িত শিল্প প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। এর ফলে এলাকার পর্যটন, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের বিরাট সুযোগ সৃষ্টি হবে, জানিয়েছেন, বরগুনার জেলা চেয়ারম্যান ও সাবেক সাংসদ মো. দেলোয়ার হোসেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: