ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫, ১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ইশরাককে মেয়র ঘোষণার গেজেটের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে লিভ টু আপিল

odhikarpatra | প্রকাশিত: ২৬ মে ২০২৫ ১৯:৪৬

odhikarpatra
প্রকাশিত: ২৬ মে ২০২৫ ১৯:৪৬

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ঘোষণা করে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায় ও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) গেজেটের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে লিভ টু আপিল করা হয়েছে।


আজ আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় লিভ টু আপিলটি (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) দায়ের করা হয়।

ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায় এবং ইসির গেজেটের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে করা রিট সরাসরি খারিজ করে ২২ মে আদেশ দেন হাইকোর্ট। এই আদেশের বিরুদ্ধে মেয়র ঘোষণা ও গেজেটের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে আজ লিভ টু আপিল করেন রিট আবেদনকারী।

লিভ টু আপিলকারীর আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায় এবং ইসির গেজেটের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে লিভ টু আপিলটি দায়ের করা হয়েছে। চেম্বার আদালতে বিষয়টি নিয়ে শুনানি হবে।

ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায় এবং ইসির গেজেটের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে মো. মামুনুর রশিদ নামে সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী ১৩ মে রিটটি করেন। শুনানি নিয়ে ২২ মে হাইকোর্ট রিট সরাসরি খারিজ করে আদেশ দেন। আদেশে বলা হয় পিটিশনারের এ আবেদন মেইনটেইনএবল নয়।

সেদিনই পূর্ণাঙ্গ আদেশ প্রকাশিত হয়। হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আজ লিভ টু আপিল দায়ের করা হলো।

২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন হয়। আওয়ামী লীগের (বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ) প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপসকে মেয়র নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়। ওই নির্বাচনে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ফলাফল বাতিল চেয়ে ২০২০ সালের ৩ মার্চ মামলা করেন ইশরাক।

গত বছরের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। একই বছরের ১৯ আগস্ট ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনসহ সব মেয়রদের অপসারণ করা হয়। এর মধ্যে ইশরাকের করা নির্বাচনী মামলায় চলতি বছরের ২৭ মার্চ রায় দেন ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল। রায়ে তাপসকে নির্বাচিত ঘোষণা বাতিল করা হয়। ইশরাককে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ঘোষণা করা হয়। আদালতের রায়ের প্রেক্ষিতে ইশরাককে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ঘোষণা করে গত ২৭ এপ্রিল গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: