অবস্থান কর্মসূচিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, রক্তাক্ত জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর ৮ আগস্ট ২০২৪ অন্তর্বর্তীকলীন সরকার শপথ গ্রহনের পর আমরা ভেবেছিলাম জন আকাঙ্ক্ষার সাথে সঙ্গতি রেখে সরকার কাঙ্ক্ষিত ইতিবাচক পরিবর্তন করবে। যুগপৎ আন্দোলন সকল অংশীজনের সাথে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য সবধরনের সহযোগিতা সরকার কে করেছে। পাশাপাশি প্রতিমাসে সরকারের কর্মকান্ডের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করে জন আকাঙ্ক্ষা ও করনীয় নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন সভা সমাবেশ সেমিনার করে আসছে। ৮ জুন ২০২৫ দশমাসের পর্যালোচনায় আমরা দেখতে পেলাম অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জন আকাঙ্ক্ষার বিপরীতে রাষ্ট্র কে পরিচালনা করে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব কে হুমকিতে ফেলে দিয়েছে। যে কাজ গুলো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে নয়,সেন্টমার্টিন পার্বত্য চট্টগ্রাম মানবিক করিডর বন্দর বন্দর বিদেশিদের কাছে ইজারা, মহেশখালী থেকে মাতারবাড়ি শহর এগুলো নিয়ে মেতে উঠে। যে কাজ গুলো জরুরী নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কে কার্যকর করা এগুলো এখনো পর্যন্ত কিছুই করে নাই। ৮ জুলাই ২০২৫ স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব সংবিধানের চার মূলনীতি সুরক্ষা, সর্বক্ষত্রে ব্যর্থতার দায়ে ড. ইউনুস গংয়ের পদত্যাগ, নির্বাচন কালীন জাতীয় সরকার গঠনের যৌক্তিকতা তুলে ধরে সাংবাদিক সম্মেলন করি। স্বৈরাচার বিরোধী বিএনপিসহ যুগপৎ আন্দোলনের সকল অংশীজনের ঘোষিত রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা থাকার পরেও বিদেশি পাসপোর্টধারী অরাজনৈতিক ব্যক্তিদের দিয়ে সংস্কারের নামে জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশন গঠন করা হয়, আমরা স্বাগত জানিয়ে অংশগ্রহণ করি। যুগপৎ আন্দোলনে রাজপথে গড়ে ওঠা জাতীয় ঐক্য বিনাশ ও বিরাজনীতিককরণের ষড়যন্ত্র দেখতে পেয়ে আমরা বয়কট করে চলে আসি। সংস্কার সংস্কার বিচার বিচার বলে মুখে ফেনার গভীরে লুকিয়ে ছিল ক্ষমতা কে দীর্ঘায়িত কর। নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা ঘোষণার পর থেকে দেশের আইনশৃঙ্খলার আরো অবনতি ঘটানো হচ্ছে। একদিকে যুগপৎ আন্দোলনে রাজনৈতিকগ নেতাদের প্রকাশ্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করা হচ্ছে অন্যদিকে গুপ্ত ঘাতক লেলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। গত ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ শুক্রবার মানবসভ্যতার ইতিহাসে নজিরবিহীন রোমহষর্ক বিভৎস কবর থেকে লাশ তুলে পুড়িয়ে ফেলার মত ঘটনা ঘটানো হয়েছে। তৌহিদী জনতার নামে ভয়ংকর জঙ্গি উত্থান এসব কিসের আলামত। আর ড. ইউনুস গং এসবের প্রতিকার না করে জনগণের সাথে নতুন তামাশা করেছে নিন্দা প্রস্তাব করছে। জনমনে প্রশ্ন জেগেছে সরকার চালায় কে?
এমতাবস্থায়, দেশ ও জনগণ কে বাঁচাতে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব সংবিধানের চার মূলনীতি সুরক্ষায় অনতিবিলম্বে ড. ইউনুস গংয়ের পদত্যাগে বাধ্য করে, নির্বাচন কালীন জাতীয় সরকার গঠন ও ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিত্বশীল সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। আশা করি এরই মধ্যে কুম্ভকর্ণ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ঘুম ভাঙ্গবে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করবে। আর যদি পদত্যাগ না করে টালবাহানা করা হয় তাহলে এই দাবীতে আরো কঠোর কর্মসুচি দিয়ে আজকে শতাধিক আগামীকাল সহস্রাধিক আগামী পরশু লক্ষাধীক জনতা কে নিয়ে যমুনা ঘেরাও করে টেনেহিঁচড়ে নামাতে বাধ্য করবেন না। অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক সকল রাজনৈতিক দল আপামর জনগণের কাছে উদ্যত আহবান স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব সংবিধানের চার মূলনীতি সুরক্ষা, মার্কিন গোপন চুক্তি বাতিল, মানবিক করিডর বন্দর বিদেশিদের কাছে ইজারা বন্ধ, সর্বক্ষেত্রে ব্যর্থতার দায়ে ড. ইউনুস গংয়ের পদত্যাগ ও দ্রুত নির্বাচন কালীন জাতীয় সরকার গঠনের দাবী আদায়ে রাজপথে আরেকবার ঐক্যবদ্ধ হই।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: