odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৬ আশ্বিন ১৪৩২

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় নবীনবরণ সম্পন্ন

odhikarpatra | প্রকাশিত: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২২:১৫

odhikarpatra
প্রকাশিত: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২২:১৫

ইবি প্রতিনিধি | অধিকার পত্র ডটকম

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের জন্য দু’দিনব্যাপী কেন্দ্রীয় নবীনবরণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দ্বিতীয় দিনের আয়োজনে থিওলজি অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ, ব্যবসায় প্রশাসন এবং কলা অনুষদের নবীন শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও চিন্তাবিদ ড. সলিমুল্লাহ খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।

অনুষ্ঠানে ড. সলিমুল্লাহ খান বলেন, “পৃথিবীতে কেউ অচেনা নয়, আমরা শুধু এখনো অনেকের সাথে দেখা করিনি।” তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে বাংলা, আরবি ও ইংরেজিতে নাম লেখা দেখে মুগ্ধতা প্রকাশ করেন এবং বলেন, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও এ প্রথা অনুসরণ করা উচিত।

তিনি আরও বলেন, জ্ঞানচর্চার মুক্ত প্রবাহ নিশ্চিত করাই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য। গ্রিক দার্শনিক সক্রেটিস ও অ্যারিস্টটলের ভাবনা থেকে শুরু করে আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থার শক্তি ও দুর্বলতা বিশ্লেষণ করে তিনি শিক্ষার্থীদের প্রকৃত জ্ঞানকে সমাজ ও রাষ্ট্রের কল্যাণে ব্যবহার করার আহ্বান জানান।

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, “তোমাদের পড়াশোনার পেছনে যে অর্থ ব্যয় হয়, সেটি দেশের সাধারণ মানুষের করের টাকা। তাই বড় হয়ে তাদের জন্য কাজ করা তোমাদের দায়িত্ব।”

কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের পর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে মূলধারায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। ইসলামী ও সাধারণ শিক্ষার সমন্বয়ই বিশ্ববিদ্যালয়টিকে ভবিষ্যতের নেতৃত্বদানে সক্ষম করবে।”

উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় হলো শিক্ষার সর্বোচ্চ স্তর। এখানে প্রবেশ মানে জ্ঞানের উচ্চতর পরিসরে প্রবেশ করা, যা শিক্ষার্থীদের বিশ্বপরিসরে জ্ঞান ছড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ করে দেয়।”

তিনি আরও যোগ করেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠদান পদ্ধতির বিশেষত্ব হলো এখানে শিক্ষার্থীদের অন্বেষণ ও স্বনির্ভরভাবে জ্ঞান আহরণে উৎসাহিত করা হয়।

সামিউল ইবিব প্রতিবেদক।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: