বিশেষ প্রতিনিধি, অধিকার পত্র ডটকম
প্রকাশ: ২৬ নভেম্বর ২০২৫
রাজধানীর মিরপুরে এক নাগরিক সমাবেশে জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, জামায়াত ক্ষমতায় এলে নারীদের জোর করে বোরকা পরানো হবে না। তিনি বলেন,
“জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের বোরকা পরতে বাধ্য করবে—এমন ভয় ছড়ানো হয়। এটা সত্য নয়। কাউকে জোর করে কিছু পরানো হবে না।”
নারীর অধিকার ও অংশগ্রহণ নিয়ে জামায়াত আমির
মঙ্গলবার রাতে মিরপুরের রূপসী প্রো-অ্যাকটিভ ভিলেজ রোডে জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন—
- যোগ্যতা ও প্রয়োজন অনুযায়ী নারীরা দেশ গঠনে অংশ নেবেন
- নারীদের সামাজিক সম্মান ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে
- শিক্ষা–স্বাস্থ্য খাতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে
সুষ্ঠু নির্বাচন ও রাজনৈতিক শালীনতার আহ্বান
শফিকুর রহমান বলেন,
“ভোটের মাধ্যমে বিবেকের প্রতিফলন দেখতে চাই। যে জিতবে তাকে অভিনন্দন দেব, আর আমরা জিতলে তারাও যেন অভিনন্দন জানায়।”
তিনি ‘কাদা–ছোড়াছুড়ি’র রাজনীতি পরিহারের আহ্বান জানিয়ে বলেন—
“রাজনীতি নীতি দিয়ে করা উচিত। ক্ষমতার দাপট দেখানো বা কালোটাকা দিয়ে ভোট কেনার চেষ্টা করা চলবে না।”
দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও অবিচারের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান
জামায়াত আমির বলেন,
- “দুর্নীতি—তোমাকে লাল কার্ড।”
- “সন্ত্রাস—তোমাকে কালো কার্ড।”
- “অবিচার—সমাজে তোমার জায়গা নেই।”
তিনি আরও বলেন, জামায়াত এক দুর্নীতিমুক্ত, সামাজিক সুবিচারে সমৃদ্ধ, ভারসাম্যপূর্ণ অর্থনীতির দেশ গড়তে চায়—যেখানে তরুণদের মেধার যথাযথ মূল্যায়ন হবে।
অতীত রাজনীতির সমালোচনা ও পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি
শফিকুর রহমান দাবি করেন—
- দেশে শিক্ষাব্যবস্থা ভালো নেই
- স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভঙ্গুর
- অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে
- অতীতের নির্বাচনী পদ্ধতি জনগণকে কল্যাণ দিতে ব্যর্থ
তিনি বলেন, “নির্বাচন দরকার, তবে নির্বাচনের মতো নির্বাচন দরকার। পুরোনো পদ্ধতিতে দেশের কল্যাণ সম্ভব নয়।”
২৪ সালের নির্বাচন প্রসঙ্গে মন্তব্য
তিনি বলেন,
“২০২৪ নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ বলেছিল, ২০৪১ পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবে। সবকিছু সাজানো হয়েছিল ৪১ সালের জন্য। কিন্তু ২৪-ই ৪১ হয়ে গেল—এটা তারা বুঝতে পারেনি।”
তিনি আরও দাবি করেন, গত বছর নিরস্ত্র মানুষের ওপর সশস্ত্র হামলার ঘটনার সময়ও জামায়াত পালায়নি—
“আমরা ফাঁসির দড়ি গলায় নিয়েছি, কিন্তু দেশ ছাড়িনি।”

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: