ঢাকা | সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২

বছরের প্রথম কালবৈশাখী কেড়ে নিল ৬ টি প্রান

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ৩১ মার্চ ২০১৮ ০৩:৪০

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ৩১ মার্চ ২০১৮ ০৩:৪০

শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩টার পর থেকেই ঢাকায় বৈরী আবহাওয়া শুরু হয়। বিকাল ৪টার পরে আকাশ ঢেকে যায় কালো মেঘে। ঘণ্টারও বেশি সময় হালকা বৃষ্টির মধ্যে বজ্রঝড়ও বয়ে যায়।
এই আবহাওয়ার মধ্যে পরীক্ষা কেন্দ্রে বিদ্যুৎ না থাকায় রূপালী ব্যাংকের একটি নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল হয়। অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশে পরীক্ষার্থীরা দেখতে পারছিলেন না বলে পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে বলে ব্যাংকার্স রিক্রুটমেন্ট কমিটির আহ্বায়ক মোশাররফ হোসেন খান জানিয়েছেন।

ঝড়ে ঢাকার হাজারীবাগে একটি বড় গাছ ভেঙে পড়েছে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি বলে ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের দায়িত্বরত কর্মকর্তা রাসেল শিকদার জানিয়েছেন

ঢাকার বাইরে নিহতরা হলেন- মাগুরা সদরের ডহরসিংড়া গ্রামের আকরাম হোসেন (৩৫), দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার চণ্ডিপুর ইউনিয়নের চৈতাপাড়া গ্রামের মৃত লাল মোহাম্মদের ছেলে সৈয়দ আলী (৫৫), সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার দশহাল গ্রামের সাবিয়া বেগম এবং উমরপুর গ্রামের শিশু হাসান আহমদ।

শুক্রবার সকালে লালমনিরহাট, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী; দুপুরে দিনাজপুর, বিকালে ঢাকা, পাবনা, গাইবান্ধা, সিলেট এবং সন্ধ্যায় যশোর ও মাগুরায় ঝড় ও শিলাবৃষ্টি হয়।

সিলেটে ঝড়ের মধ্যে টিনের চালের আঘাতে এক পথচারী নিহত এবং এক শিশু পুকুরে ডুবে মারা গেছে। শিলার আঘাতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে মাগুরা ও দিনাজপুরে। যশোরের অভয়নগরে ঝড়ে ছিঁড়ে পড়া বিদ্যুতের তারে স্পৃষ্ট হয়ে এক কলেজ ছাত্রীসহ দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অপর এক কলেজ ছাত্রী।

উত্তরের জেলাগুলোতে ঝড়-শিলাবৃষ্টিতে আরও শতাধিক ব্যক্তি আহত হওয়া ছাড়াও কোনো কোনো এলাকায় শিলার আঘাতে ঘরের টিনের চালা ফুটো হয়ে গেছে, নষ্ট হয়েছে ফসলের ক্ষেত, ঝড়ে ভেঙে গেছে ঘরবাড়ি-গাছপালা।

কেউ কেউ বলছেন, ঝড়ে এত বড় শিলা পড়তে এর আগে দেখেননি তারা।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, শনিবারও দেশের বিভিন্ন এলাকায় ঝড়ো হাওয়া ও শিলা বৃষ্টি হতে পারে। হালকা বৃষ্টিতে অস্বস্তিকর গরমের রেশ কাটলেও কয়েকদিন পর ফের তাপমাত্রা ব।রবে

পাবনা

বিকাল ৫টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত পাবনার চার উপজেলায় ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে অর্ধ শতাধিক আহত হন। ঘরবাড়ি, আম, লিচু, ভুট্টা, সবজিসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আহতদের কয়েকজনকে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতাল-ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।

চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সের চিকিৎসক খোরশেদ আলম বলেন, “শিলাবৃষ্টি থামার পরপরই একের পর এক রোগী আসতে থাকে। তাদের চিকিৎসা দিতেই হিমশিম খেতে হয়েছে। এখানে অন্তত অর্ধশত ব্যক্তিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি।”

 জীবনে এ ধরনের শিলাবৃষ্টি দেখি নাই। আমার এলাকার উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। লিচু ও আমের কুঁড়ি ঝরে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে।”

ভাঙ্গুড়া উপজেলা সদরের পাটুলীপাড়া মহল্লার বাসিন্দা ব্যবসায়ী রানা হামিদ বলেন, “বিকালে প্রথমে বাতাস শুরু হয়। পরে তা তীব্র হয়। এরপরই শুরু হয় ভারি শিলাবৃষ্টি। এতে করে আমাদের এলাকাসহ উপজেলার অসংখ্য ঘরবাড়ির টিনের চালা ফুটো হয়ে গেছে।”

চাটমোহর পৌর এলাকার ব্যবসায়ী রনি রায় বলেন, “আমার জীবনের দেখা প্রথম এমন শিলাবৃষ্টি। এত বড় শিলা পড়তে আমি দেখি নাই।”

সাঁথিয়ার নাগডেমরা গ্রামের বাসিন্দা দিনমজুর সোলায়মান মিয়া (৫৫) বলেন, “আমার তিনটি টিনের ঘরের চালা ফুটো হয়ে গেছে।”

ফরিদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলী আশরাফুল কবির বলেন, এই উপজেলায়ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে বোঝা যাচ্ছে না কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

পাবনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিভূতিভূষণ বলেন, “শিলাবৃষ্টির পরপরই আমাদের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণের জন্য

পাবনা জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিন বলেন, জেলার পাঁচটি উপজেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সুজানগর ও চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা ইতোমধ্যে মাঠে গিয়ে খোঁজখবর নিয়েছেন।

“সুজানগরে ৯৮টি ঘর ভেঙে গেছে। সেখানে শুকনো খাবার পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে চিকিৎসা ব



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: