odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Thursday, 25th December 2025, ২৫th December ২০২৫
প্রথম আলো ডেইলি স্টার ও ছায়ানটে হামলা: প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে আনু মুহাম্মদের প্রশ্ন | গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সমাবেশ

এটাই কি ইউনূসের সভ্যতার নমুনা?"—গণমাধ্যম ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে হামলার পর শাহবাগে গর্জে উঠলেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ!

odhikarpatra | প্রকাশিত: ২৫ December ২০২৫ ০৩:২৩

odhikarpatra
প্রকাশিত: ২৫ December ২০২৫ ০৩:২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা: ছাত্র-গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে ‘জুলাই সনদ’ ও ‘সভ্যতা’র দাবি নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের দেওয়া বক্তব্যকে কড়া চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সাবেক সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।

গণমাধ্যম ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে সাম্প্রতিক নজিরবিহীন হামলার প্রেক্ষাপটে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, "এটাই কি মুহাম্মদ ইউনূসের সভ্যতার নমুনা?"


বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে 'গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি'র উদ্যোগে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, ছায়ানট এবং উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।


রাষ্ট্রের নীরবতা নিয়ে বিষোদগার: সমাবেশে আনু মুহাম্মদ বলেন, "মাসের পর মাস ধরে আমরা যে নৃশংসতা দেখছি, বিশেষ করে ১৮ ও ১৯ ডিসেম্বর যা ঘটল, তা পরিকল্পিত সন্ত্রাস। অবিশ্বাস্য বিষয় হলো, যখন হামলাকারীরা ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে, তখন পুলিশ ও সেনাবাহিনী নিষ্ক্রিয়ভাবে দাঁড়িয়ে ছিল। রাষ্ট্র ও সরকার কি তবে এই সন্ত্রাসীদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে?"


তিনি আরও উল্লেখ করেন, গত ১৭ অক্টোবর অধ্যাপক ইউনূস বলেছিলেন—বাংলাদেশ এক 'বর্বর জগৎ' থেকে 'সভ্যতা'য় প্রবেশ করেছে। সেই বক্তব্য স্মরণ করিয়ে দিয়ে আনু মুহাম্মদ বলেন, গণমাধ্যম এবং সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের ওপর আক্রমণ কোনোভাবেই সভ্যতার লক্ষণ হতে পারে না।
দুই ফ্যাসিবাদের মিশেল: সরকারের ভূমিকার সমালোচনা করে এই অর্থনীতিবিদ দাবি করেন, বর্তমান সরকারের মধ্যে দুই ধরনের ফ্যাসিবাদী ধারার মিলন ঘটেছে—একটি 'ধর্মীয় ফ্যাসিবাদ' এবং অন্যটি 'করপোরেট ফ্যাসিবাদ'।

তিনি বলেন, সরকার চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের হাতে তুলে দিতে যতটা তৎপর, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিতে ততটাই উদাসীন।
সাত দফা দাবি: সমাবেশ থেকে গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক ঐক্যের পক্ষ থেকে সাতটি সুনির্দিষ্ট দাবি পেশ করা হয়:


১. শরিফ ওসমান বিন হাদি ও আয়েশা আক্তারসহ সব হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার।
২. উদীচী, ছায়ানট ও সংবাদপত্রে হামলার তদন্ত ও বিচার।
৩. সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উসকানিদাতাদের চিহ্নিত করে শাস্তি।
৪. মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
৫. ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান ও পরিবারকে ক্ষতিপূরণ প্রদান।
৬. ব্যর্থতার দায়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে অপসারণ।
৭. ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচন।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল শাহবাগ থেকে শুরু হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে তোপখানা রোডের উদীচী কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: