
বাংলাদেশ আগামী ১৯ এপ্রিল লন্ডনে শুরু হওয়া আসন্ন কমনওয়েলথ সরকার প্রধানদের (সিএইচওজিএম) বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যু বিশেষ করে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার বিষয়টিকে অধিক গুরুত্ব দিবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন দু’দেশ সফর উপলক্ষে আজ এখানে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শীর্ষ সম্মেলনের সময়ে কমনওয়েলথ সদস্য রাষ্ট্রসমূহের সরকার প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে রোহিঙ্গাদের বর্তমান অবস্থা এবং অন্যান্য বিষয় তুলে ধরবেন। আগামী ১৫ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর এই সফর কর্মসূচি শুরু হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা ইস্যুতে দেশের অবস্থান এবং রোহিঙ্গাদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে মিয়ানমারের প্রতি আহবান জানিয়ে কফি আনানের রিপোর্ট বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, কমনওয়েলথ ইতোমধ্যেই রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সৌদি আরবের বাদশাহ্ এবং পবিত্র মসজিদের কাস্টোডিয়ান সালমান বিন আবদুল আজিজ আল-সাউদের আমন্ত্রনে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিবেন।
সৌদি আরব উপসাগরীয় অঞ্চলে নিরাপত্তা সহযোগিতা আরো বৃদ্ধি করতে দেশটির বন্ধুপ্রতীম ২৩টি দেশের অংশ গ্রহনে গালফ্ শিল্ড-১ নামে মাসব্যাপী এক সামরিক মহড়ার আয়োজন করেছে। বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ১৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল এই মহড়ায় অংশ নিচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গাল্ফ শিল্ড-১ এর সমাপনি অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে সিএইচওজিএম এর শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে আগামী ১৬ এপ্রিল লন্ডনের উদ্দেশ্যে দাম্মাম ত্যাগ করবেন।
সিএইচওজিএম’র এ বছরের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে, ‘এগিয়ে যাওয়া এবং অভিন্ন ভবিষ্যৎ’ । প্রধানমন্ত্রী শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানের পাশাপাশি যুক্তরাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ থিংক ট্যাংক বৈদেশিক উন্নয়ন ইনিষ্টিটিউট (ওডিআই) আয়োজিত এক উচ্চ পর্যায়ের কর্মসূচীতে যোগ দিবেন। তিনি অনুষ্ঠানে ”বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতি : নীতি, অগ্রগতি এবং সম্ভাবনা” শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন।
তিনি কমনওয়েলথ মহাসচিবের আমন্ত্রনে কমনওয়েলত ওমেন ফোরামের এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখবেন। অনুষ্ঠানে তিনি নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের ভূমিকা তুলে ধরবেন। পাশাপাশি শেখ হাসিনা শীর্ষ সম্মেলন চলাকালে বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধানদের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করবেন। তিনি আগামী ২৩ এপ্রিল দেশে ফিরে আসবেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: