odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Saturday, 6th December 2025, ৬th December ২০২৫
বগুড়ার শেরপুরে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় ছেলে রাফি হাসানের সাথে মা মোছাঃ ফাতেমা খাতুনও এসএসসি পাস করেছেন

বগুড়ার শেরপুরে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় মা-ছেলে একসাথে পাস \ এগিয়ে মা

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ৮ May ২০১৮ ২০:৩৩

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ৮ May ২০১৮ ২০:৩৩


আবু জাহের, শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ


বগুড়ার শেরপুরে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় ছেলে রাফি হাসানের সাথে মা মোছাঃ ফাতেমা খাতুনও এসএসসি পাস করেছেন। এ পরীক্ষায় ছেলের চাইতে মা ভাল রেজাল্ট করেছেন।
জানা যায়, শেরপুর শহরের হাসপাতাল রোড এলকায় ইউনিভার্সাল টেকনিক্যাল বিএম স্কুল এ্যান্ড কলেজের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে মা ফাতেমা খাতুন এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে তিনি জিপিএ ৪.৩৭ পেয়েছেন। পাশাপাশি ছেলে রাফি হাসান উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের ধড়মোকাম স্কুল এ্যান্ড কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে পরীক্ষা দিয়ে জিপিএ ৩.৭৭ পেয়েছে। মা ছেলের এ ধরনের ফলাফলে তাদের বাড়িসহ স্বজনদের মধ্যে আনন্দের জোয়ার বইছে। খবর পেয়ে অনেকেই মা ও ছেলেকে একনজর দেখার জন্য তাদের বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন।
সরেজমিনে শাহবন্দেগী ইউনিয়নের খন্দকার টোলা(দর্জি বাড়ি) গিয়ে জানা যায়, ফাতেমা খাতুনের অষ্টম শ্রেনীতে পড়া অবস্থায় রফিকুল ইসলামের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসারে ৩ ছেলে সন্তানের হয়। বড় ছেলে রাফি হাসানকে লেখাপড়ার সময় দিতে গিয়ে তিনি নতুনভাবে লেখপড়া শুরু করার স্বপ্ন দেখেন। তার স্বামীর কাছে এ বাসনা প্রকাশ করলে তাকে স্কুলে ভর্তি করে না দিলে সে গোপনে ইউনিভার্সাল টেকনিক্যাল বিএম স্কুল এ্যান্ড কলেজে নবম শ্রেনীতে ভর্তি হন। তারপর থেকে সে ছেলের সাথে লেখাপড়া করে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় ভালভাবে উত্তীর্ন হন।
ফাতেমা খাতুন জানান, জীবনের মধ্যবয়সে এসে নতুনভাবে লেখাপড়া শুরু করে যে ফলাফল পেয়েছি, তাতে আমি খুব খুশি। ছেলের সঙ্গে উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি হবেন বলেও জানান তিনি।
ছেলে রাফি হাসান জানায়, সংসারের সকল কাজ সেরে মা যেভাবে আমাকে লেখাপড়া করিয়েছেন, তাতে আমি যথেষ্ট উদ্ধুব্ধ হয়েছি। একসঙ্গে পাশ করার পাশাপাশি মায়ের রেজাল্ট বেশি ভালো হওয়ায় আমি বেশি খুশি হয়েছি।
ইউনিভার্সাল টেকনিক্যাল বিএম স্কুল এ্যান্ড কলেজের প্রধান নাজমুল হক জানান, আমাদের ছাত্রী ফাতেমা খাতুন আমার প্রতিষ্ঠান থেকে পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে। এ ঘটনাটি আমাদেরকেও অনুপ্রাণিত করেছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: