
আব্দুর রাহিম, শেরপুর (বগুড়া) থেকে
বগুড়ার শেরপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসৃজন প্রকল্পে ভিআইপি লেবার(কামলা)’র নামে ব্যাপক অর্থ লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নের একই চিত্র ফুটে উঠেছে। উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ১হাজার ৯শ ০২ জন কামলার বিপরিতে ১ কোটি ৫২ লক্ষ ১৬ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল। ওই বরাদ্দকৃত টাকার মধ্যে হতে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে। কামলা বা লেবারের তালিকায় শিক্ষক ও ছাত্রের নাম থাকার অভিযোগও রয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্ম এলাকায়।
সরেজমিনে গিয়ে প্রাপ্ততথ্যে জানা যায়, উপজেলার ১০টি ইউনিনের মধ্যে কুসুম্বী ইউনিয়নে ২৩৪ জন কামলার বিপরীতে ১৮ লক্ষ ৭২ হাজার টাকা, গাড়িদহ ইউনিয়নে ২৩১ জন কামলার বিপরীতে ১৮ লক্ষ ৪৮ হাজার টাকা, খামারকান্দি ইউনিয়নে ১৪০ জন কামলার বিপরীতে ১১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা, খানপুর ইউনিয়নে ১৯৫ জন কামলার বিপরীতে ১৫ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা, মির্জাপুর ইউনিয়নে ১৪১ জন কামলার বিপরীতে ১১ লক্ষ ২৮ হাজার টাকা, বিশালপুর ইউনিয়নে ২৬১ জন কামলার বিপরীতে ২০ লক্ষ ৮৮ হাজার টাকা, ভবানীপুর ইউনিয়নে ২০১ জন কামলার বিপরীতে ১৬ লক্ষ ৮ হাজার টাকা, সুঘাট ইউনিয়নে ১৬৬জন কামলার বিপরীতে ১৩ লক্ষ ২৮ হাজার টাকা, সিমাবাড়ী ইউনিয়নে ১৫০ জন কামলার বিপরীতে ১২ লক্ষ টাকা ও শাহ-বন্দেগী ইউনিয়নে ১৮৩ জন কামলার বিপরীতে ১৪ লক্ষ ৬৪ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, মেম্বার ও কতিপয় ট্যাগ অফিসারদের সমন্বয়ে ভিআইপি কামলার নাম দেয়া হয়েছে। যে সকল কামলা বা লেবার কোন কাজ করেনা এমনকি অনেক ক্ষেত্রে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নাম কামলার তালিকায় আছে সেটিও তারা জানেনা। শুধু সময়মত তাদের নামে বরাদ্দকৃত টাকাগুলো উত্তোলন করে সবাই মিলে ভাগবাটোয়ারা করে নেয়। এক অনুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নেই ১শ ৬৬ জন কামলার মধ্যে ৫২ জন ভিআইপি( শিক্ষক ও শিক্ষার্থী) কামলা রয়েছে। যে কামলা বা লেবারের বিপরীতে ৮ লক্ষ ৩২ হাজার টাকা উত্তোলন করা হয়েছে, যেগুলোর প্রাপ্ত অর্থ সংশ্লিষ্টরা সবাই মিলে ভাগবাটোয়ারা করে পকেটে পুরেছে। বিষয় নিয়ে গনমাধ্যমকর্মীরা খোজ খবর নিতে গেলে আরো চা ল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে। কতিপয় গনমাধ্যমকর্মীরা বিষয়টি ধামা দিতে অর্থ লেনদেনের মত ঘটনা ঘটিয়েছে ।
সুঘাট ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ৩ জন ভিআইপি(শিক্ষক ও শিক্ষার্থী) কামলার মধ্যে ফরিদ উদ্দীন কল্যানী বালিকা দাখিল মাদরাসায় শিক্ষকতা করেন বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। এ ছাড়াও কল্যানীর সুব্রত তলাপাত্র নামের ভিআইপি কামলা মাষ্টার্সের ছাত্র।
এ ব্যাপারে শিক্ষক কামলা বা লেবার খ্যাত কল্যানী বালিকা দাখিল মাদরাসার শিক্ষক ফরিদ উদ্দীন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।
এ বিষয়টি নিয়ে সুঘাট ইউনিয়নের ট্যাগ অফিসার উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসার বিজয় চন্দ্র দাসের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ৪ জনের টাকা নেওয়া কথা অস্বীকার করে বলেন, যদি ভিআইভি লেবার থাকে তাহলে সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যান ও মেম্বাররাই জানেন, আমি কাজের তদারকি মাত্র।
তবে বিষয়টি নিয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বরাবরে সুঘাট ইউনিয়নের বিনোদপুর ও চরকল্যানী গ্রামের আব্দুল মালেক ও জহির উদ্দিন ওই ওয়ার্ডের মেম্বারের ৩ জন ভিআইপি কামলার বিষয়ে একটি লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ দিলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোন ব্যব¯’া নেয়নি বলে জানিয়েছেন অভিযোগকারীরা।।
এ ব্যাপারে সুঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ সরকার জানান, কর্মসৃজন প্রকল্পে অতিরিক্ত লেবারের শিক্ষক-শিক্ষার্থীর নামের প্রশ্নই আসেনা, এটি একটি ভূয়া তথ্য, আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা।
এ বিষয়ে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিরাজুল ইসলাম জানান, এমন কোন তথ্য তার জানা নেই। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যব¯’া নেয়া হবে।
শেরপুরে ভবানীপুর ইউনিয়ন কল্যাণ সমিতির সাধারণ সভা ও ইফতার মাহফিল
আব্দুর রাহিম, শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
বগুড়ার শেরপুরে ভবানীপুর ইউনিয়ন কল্যাণ সমিতির সাধারণ সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত ১জুন শুক্রবার বাসট্যান্ড সাবেক রঙ্গিলা সিনেমা হল মার্কেটের সামতির কার্যালয়ে অধ্যক্ষ এস এম আসাদুজ্জামান এর সভাপতিত্বে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপ¯ি’ত ছিলেন জেলা বিএনপির উপদেষ্টা উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আলহাজ¦ জানে আলম খোকা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপ¯ি’ত ছিলেন এ্যাডঃ আবুল কালাম আজাদ, শাহজামাল সিরাজী, অধ্যক্ষ স. ম হাফিজুল ইসলাম, আলহাজ¦ নওয়াব আলী, আলা উদ্দিন, রফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক ওহেদুজ্জামান, মিজানুর রহমান, আমজাদ হোসেন, প্রভাষক মিজানুর, আকতারুজ্জামন প্রমুখ। অনুষ্ঠানের স ালনা করেন প্রভাষক আব্দুল মালেক।
আব্দুর রাহিম
শেরপুর(বগুড়া) প্রতিনিধি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: