
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস দৃঢ় আস্থা প্রকাশ করে বলেছেন, অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু-কিশোরদের সম্ভাবনাগুলোকে চিহ্নিত করে সঠিক পরিচর্যা, শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও স্নেহ-ভালোবাসা দিয়ে মানবিক পরিবেশে গড়ে তোলা হলে তারাও পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের সম্পদ হিসেবে গড়ে উঠবে।
বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষ্যে আজ দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ১৮তম ‘বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস-২০২৫’ পালনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বাণীতে বলেন, ‘দিবসটি উদযাপনের প্রাক্কালে আমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু, ব্যক্তি ও তাদের পরিবার এবং অটিজম বিষয়ে কর্মরত ব্যক্তি ও সরকারি-বেসরকারি সংগঠনসমূহকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।’
প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ অটিজম ও স্নায়ু বিকাশজনিত সমস্যার শিকার। প্রতিটি নাগরিকের মতো অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিদেরও পূর্ণ মর্যাদা নিয়ে বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ বিনির্মাণ ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতে যথাযথ পরিচর্যার মাধ্যমে অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিদের সমাজের মূলধারায় নিয়ে আসার বিকল্প নেই। এ প্রেক্ষাপটে দিবসটির এবছরের প্রতিপাদ্য- ‘স্নায়ু বৈচিত্র্যকে বরণ করি, টেকসই সমাজ গড়ি’-অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ছাত্র-শ্রমিক-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার একটি বৈষম্যহীন, উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের চেতনাকে ধারণ করে স্নায়ু বিকাশজনিত সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিবর্গ যেন সমাজে ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রকার বৈষম্যের শিকার না হন তা নিশ্চিত করতে হবে। এ লক্ষ্যে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের চলমান কার্যক্রম জোরদারের পাশাপাশি আরো বেশি প্রযুক্তিবান্ধব কার্যক্রম গ্রহণে তিনি সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি ১৮তম ‘বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস-২০২৫’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: