ঢাকা | Saturday, 18th October 2025, ১৮th October ২০২৫
হলিআরটিজান হামলার চার্জশিট চুরান্ত

গুলশান হামলার ২ বছর কাল

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ৩০ June ২০১৮ ১৯:৪৬

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ৩০ June ২০১৮ ১৯:৪৬

দুই বছর আগে গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলায় জড়িত ২১ জনকে চিহ্নিত করার পর আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিতে যাচ্ছে পুলিশ।

‘চিহ্নিত’ বাকি ১৩ জন নজিরবিহীন ওই হামলার পর বিভিন্ন অভিযানে নিহত হন বলে মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম জানিয়েছেন।

গুলশান হামলার দুই বছর পূর্তির আগের দিন শনিবার মনিরুল সাংবাদিকের বলেন, “বাস্তবায়ন, প্রস্তুতি এবং সর্বশেষ হামলা পর্যন্ত আমরা মোট ২১ জনের সম্পৃক্ততা পেয়েছি। এই ২১ জনের ভেতরে বিভিন্ন অভিযানে ১৩ জন নিহত হয়েছে।

“বাকি আটজনের বিরুদ্ধে আমরা পর্যাপ্ত সাক্ষ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করেছি। যার মধ্যে দুজন পলাতক রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আমরা চার্জশিট দিতে যাচ্ছি।”

কবে চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়া হবে, সে বিষয়ে মনিরুল কিছু না বললেও গত বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান মিয়া আগামী এক সপ্তাহ থেকে ১০ দিনের মধ্যে অভিযোগপত্র দেওয়ার কথা বলেছিলেন।

মনিরুল নিহত ও গ্রেপ্তারদের নাম না বললেও পুলিশ কর্মকর্তাদের বক্তব্য অনুযায়ী শহীদুল ইসলাম খালেদ ও মামুনুর রশিদ রিপন নামে দুজন এখনও পলাতক রয়েছেন।

২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে কূটনীতিক পাড়া গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালিয়ে ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। তাদের ঠেকাতে গিয়ে দুই পুলিশ কর্মকর্তাও নিহত হন।

রাতভর উৎকণ্ঠার পর ২ জুলাই সকালে সেনাবাহিনীর কমান্ডো অভিযানের মধ্য দিয়ে সঙ্কটের অভিযান ঘটে। হামলায় অংশ নেওয়া নব্য জেএমবির পাঁচ জঙ্গি ওই অভিযানে নিহত হয়।  

নিবরাজ ইসলাম, মীর সামেহ মোবাশ্বের, রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, খায়রুল ইসলাম পায়েল ও শফিকুল ইসলাম উজ্জল নিহত হয়েছিলেন হামলার দ্বিতীয় দিন সেনাবাহিনীর কমান্ডো অভিযানে।

আর পরে জঙ্গিবিরোধী বিভিন্ন অভিযানে হামলার ‘মূল পরিকল্পনাকারী’ তামিম চৌধুরী, জাহিদুল ইসলাম, তানভীর কাদেরী, নুরুল ইসলাম মারজান, আবু রায়হান তারেক, সারোয়ার জাহান, বাসারুজ্জামান চকলেট ও ছোট মিজান নিহত হন।

গ্রেপ্তার আছেন রাজীব গান্ধী, বড় মিজান, রফিকুল ইসলাম রিগ্যান, সোহেল মাহফুজ, রাশেদুল ইসলাম ওরফে র‌যাশ ও হাদিসুর রহমান সাগর।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের কয়েকজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ঘটনার সময় গ্রেপ্তার নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক হাসনাত করিমের ওই ঘটনায় সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি।

এবিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে মনিরুল বলেন, “আমরা এখনও চার্জশিট আদালতে জমা দেইনি। জমা দেওয়ার পর বিস্তারিত জানতে পারবেন।”

কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের এক কর্মকর্তা বলেন, চিহ্নিত ২১ জনের মধ্যে পাঁচজন গুলশান হামলায় সরাসরি অংশ নেন। বাকিরা হামলার পরিকল্পনা, সমন্বয়, প্রশিক্ষণ এবং অস্ত্র-বোমা সংগ্রহসহ বিভিন্ন পর্যায়ে জড়িত ছিলেন।

গত বছর মনিরুল বলেছিলেন, হামলার মূল পরিকল্পনাকারী (মাস্টারমাইন্ড) তামিম চৌধুরী, মূল প্রশিক্ষক (মাস্টার ট্রেইনার) মেজর জাহিদ কিংবা তানভির কাদেরি, নুরুল ইসলাম মারজান ছিলেন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আসামি।

পুলিশ কর্মকর্তাদের ভাষ্য, গুলশান হামলার জন্য বগুড়ার দুই জঙ্গিকে নিয়োগ করেন রাজীব আর বসুন্ধরায় বাসা ভাড়া ও জঙ্গিদের উদ্ধুদ্ধও করেন তিনি।

সাগর সীমান্তের ওপার থকে আসা অস্ত্র ঢাকায় মারজানের কাছে পৌঁছান। বাশারুজ্জামান মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশ থেকে দুই দফা হুন্ডির মাধ্যমে আসা ২০ লাখ টাকা গ্রহণ করেন এবং সেই টাকা গুলশান হামলায় ব্যবহৃত হয়।

এক প্রশ্নে মনিরুল বলেন, “তাদের কারও কারও অতীতে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি করার প্রমাণ পাওয়া গেছে। ওই সব সংগঠনের নেতা ছিল না, কিন্তু সদস্য হিসেবে রাজনীতি করার তথ্য



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: