ঢাকা | রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ দূর করা সম্ভব হলে তারা আর রাস্তায় নামবে না

বিভিন্ন ধরনের ক্ষোভ থেকে রাস্তায় আন্দোলনে নেমেছিল। তবে এ ধরনের চাপ না থাকলে সচেতনতা সৃষ্টি হয় না: ওবায়দুল কাদের

staf reporter | প্রকাশিত: ৯ আগস্ট ২০১৮ ১৮:৪০

staf reporter
প্রকাশিত: ৯ আগস্ট ২০১৮ ১৮:৪০

 

 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ দূর হলে তারা আর রাস্তায় নামবে না।
তিনি বলেন, তারা বিভিন্ন ধরনের ক্ষোভ থেকে রাস্তায় আন্দোলনে নেমেছিল। তবে এ ধরনের চাপ না থাকলে সচেতনতা সৃষ্টি হয় না। এই ক্রাশ কর্মসূচি তাদের আন্দোলনেরই একটি অংশ।
সেতুমন্ত্রী কাদের আরো বলেন, আমরা এ বিষয়টি উপলদ্ধি করতে না পারলে আমাদের আরো ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখী হতে হবে।
ওবায়দুল কাদের আজ দুপুরে রাজধানীর কেরানীগঞ্জে বিআরটিএ’র কার্যালয়ে নিজ মন্ত্রণায়ের নেওয়া ক্রাশ কর্মসূচির কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
এ কর্মসূচির আওতায় গাড়ীর ফিটনেস, ড্রাইভিং লাইসেন্স, লাইসেন্স নবায়ন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত রাজধানীসহ দেশের সকল বিআরটিএ’র কার্যালয়ে এ কর্মসূচি চলছে।
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের সকল বিভাগীয় শহরে কোরিয়ার অর্থ সহায়তায় ভেহিক্যাল ইনস্পেকশন সেন্টার (ভিআইসি) গড়ে তোলার চেষ্টা করছি। ২০১১ সালে ৫টি ভিআইসি সেন্টার ছিল। কিন্তু সর্ষের মধ্যে ভুত থাকায় তা বন্ধ হয়ে যায়।
তিনি বলেন, আমি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণের পর সেনাবাহিনীর সহায়তায় ভিআইসি সেন্টারগুলো চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলাম। কিন্তু স্বার্থ ক্ষুণœ হওয়ার ভয়ে একটি মহল আমাকে তা বাস্তবায়ন করার সুযোগ দেয়নি।
কাদের বলেন, দেশের জেলা পর্যায়ে এ সেন্টার চালু করা না গেলেও বিভাগীয় পর্যায়ে যাতে চালু করা যায় সে বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছি।
এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি জনগণের মনের ভাষা বুঝতে পারেনি বলেই তারা এতদিন ধরে ক্ষমতার বাইরে রয়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপির নেতাদের মধ্যে সমন্নয় নেই। তারা তাদের লক্ষ্য নির্ধারণ করতে পারছে না। বিএনপি এখন পাল ছেড়া নৌকার মত হয়েছে। আর তাই তারা সব কিছুতে উদ্বিগ্ন থাকে।
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আজ সকালে ক্রাশ কর্মসূচির অংশ হিসেবে গাড়ীর ফিটনেস লাইসেন্স ও ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখতে গুলিস্তানের সার্জেন্ট আহাদ পুলিশ বক্সের সামনে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় তিনি বেশ কয়েকটি বাস, প্রাইভেট কার, মোটর সাইকেল আরোহীর ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা করে দেখেন।
সেতুমন্ত্রী রাজধানীতে যাতে ব্যাটারী চালিত রিক্সা না চলতে পারে সেজন্য কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তাদের কঠোর নির্দেশ দান করেন।
এরপর তিনি রাজধানীর বিআরটি’র কেরানীগঞ্জ কার্যালয় পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি সকল অনিয়ম ও দালালদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: