ঢাকা | শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামী জাতীয় নির্বাচনে সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে পরাজিত করতে হবেঃ ওবায়দুল কাদের

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২১:৪৫

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২১:৪৫

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মর্যাদা রক্ষা করতে হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামী জাতীয় নির্বাচনে সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে পরাজিত করতে হবে।
 
বর্তমান সরকারকে সনাতন ধর্মাবলম্বী বান্ধব সরকার হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আপনাদের আপনজন ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, আর এখন আপনাদের আপনজন হলেন তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
 
আজ রবিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন পলাশী মোড়ে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটি ও মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত ঐতিহাসিক কেন্দ্রীয় জন্মাষ্টমী মিছিল পূর্ব সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।
 
মহানগর পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি শৈলেন্দ্রনাথ মজুমদারের সভাপতিত্বে মিছিলের উদ্ধোধন করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন হাজী মো. সেলিম এমপি, ডিএমপি পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান মিয়া, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি মিলন কান্তি দত্ত ও সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুমার চ্যাটার্জি।
 
সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপির নেতৃত্বে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি ক্ষমতায় এলে দেশে অন্ধকার নেমে আসে। দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীরা নির্যাতিত হয়, তাদের ঘরবাড়ী ছাড়তে হয় ও নারীরা ধর্ষিত হয়।
 
তিনি বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি জামায়াত ক্ষমতায় আসার পর আপনাদের ওপর তারা যে পাশবিক নির্যাতন ও হামলা করেছিল সে কথা আপনারা ভুলে যাননি। ওই অপশক্তি আবারো ক্ষমতায় এলে ২০০১ সালের চেয়েও ভয়াবহ সময় ফিরে আসবে।
 
কাদের বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি জামায়াত সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে পরাজিত করতে হবে। আপনাদের মর্যাদা রক্ষা করতে হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই অপশক্তিকে পরাজিত করার শপথ নিতে হবে।
 
তিনি বলেন, তারা (বিএনপি) আগামী জাতীয় নির্বাচনে পরাজয়ের ভয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ওপর আঘাত করে ভারতের সঙ্গে বর্তমান সরকারের সুসম্পর্ক নষ্ঠ করার ষড়যন্ত্র করতে পারে। বাংলাদেশ ও ভারতের সুসম্পর্কের জন্যই স্থল সীমান্ত চুক্তি ও সমুদ্র সীমা চুক্তি স্বাক্ষর করা সম্ভব হয়েছে।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: