odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Sunday, 16th November 2025, ১৬th November ২০২৫
শেখ হাসিনার সাথে কাদের ছিদ্দিকি ও কর্নেল অলির রুদ্ধ দ্বার বৈঠক

নেতা কর্মীদের সাথে অস্বাভাবিক আচরণ করছেন, কামা, মান্না,আঃরব

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ২২ September ২০১৮ ১৭:৩৮

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ২২ September ২০১৮ ১৭:৩৮

জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সূত্রের বরাতে জানা গেছে, বঙ্গবন্ধুর হাতে দীক্ষা নিয়ে রাজনীতির ময়দানে মাঠে আসলেও ডঃ কামাল হোসেন, আ স ম আব্দুর রব ও মাহমুদুর রহমান মান্না আজ তা অস্বীকার করে জাতীয় বেঈমান হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন।

ক্ষমতায় আসার দিবা স্বপ্নে বিভোর হয়ে তারা আওয়ামী লীগে আসতে চাচ্ছেন না। উল্টো প্রধানমন্ত্রীর সাথে কাদের সিদ্দিকী ও কর্ণেল (অবঃ) অলি আহমেদের বৈঠকের কথা শুনে তারা নেতাকর্মীদের সাথে অস্বাভাবিক আচরণ করছেন। প্রধানমন্ত্রীর সাথে কাদের সিদ্দিকী ও কর্ণেল (অবঃ) অলির কথা হয়েছে জেনে রাতে বি চৌধুরীর প্রেসার বেড়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন বলেও জানা গেছে।
বি চৌধুরীকে দ্রুত ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে বলেও নিশ্চিত হওয়া গেছে। এদিকে বাবার অসুস্থতার কথা শুনে মাহী বি চৌধুরী দ্রুত হাসপাতালে ছুটে যান।
বি চৌধুরীকে হাসপাতালে দেখতে গিয়ে গণফোরামের ডঃ কামাল হোসেন গণমাধ্যমে তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় কাদের সিদ্দিকী ও কর্ণেল (অবঃ) অলি আহমেদকে জাতীয় বেঈমান হিসেবে উল্লেখ করেছেন
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী ও এলডিপি সভাপতি কর্ণেল (অব.) অলি আহমেদকে নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মাঝে চলছে নানান গুঞ্জন। ফের আওয়ামী লীগে ফিরে আসতে চাইছেন এই দুই নেতা। তবে তারা সরাসরি আওয়ামী লীগে না ফিরলেও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ও এলডিপি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোটে যে কোনো সময় যোগ দিতে পারেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।

জানা যায়, দীর্ঘ সময় পর বৃহস্পতিবার গণভবনে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন কাদের সিদ্দিকী ও কর্ণেল (অবঃ) অলি আহমেদ। এর আগে রাতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সাথে দীর্ঘ বৈঠকের পর একটি সাদা মাইক্রোতে করে কাদের সিদ্দিকী ও কর্ণেল (অবঃ) অলি গণভবনে যান। সেসময় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে রুদ্ধ দ্বার বৈঠকে প্রায় দুই ঘন্টা কথা বলেন কাদের সিদ্দিকী ও কর্নেল অলি। শেখ রেহানাও এসময় উপস্থিত ছিলেন বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

তরুণ রাজনীতিবিদদের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় হচ্ছেন বিজেপি (মঞ্জুর) বর্তমান চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ। দল হিসেবে বিজেপির তেমন নামডাক না থাকলেও নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল হিসেবে ঐক্য প্রক্রিয়ার এর আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। কিন্তু আন্দালিব রহমান পার্থ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আত্মীয়। আত্মীয়তা ছাড়াও আওয়ামী লীগে সঙ্গে রয়েছে তাঁর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ৷ গত কিছুদিন ধরে ঐক্য প্রক্রিয়া বিষয়ে তাঁর নীরবতাই একথা প্রমাণ করে। তাই নতুন জোটের নেতারা আশঙ্কা করছেন, ঐক্য প্রক্রিয়া যখন হবে আন্দালিব রহমান পার্থর দিকে থেকেও সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।

উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে আওয়ামী সরকারের কিছু কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রকাশ্যে নেতিবাচক সমালোচনা করে বহিষ্কার হয়েছিলেন কাদের সিদ্দিকী। এরপর নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেন তিনি। শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের সমালোচনা করলেও বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটে কখনো যোগ দেননি কাদের সিদ্দিকী। অন্যদিকে কর্ণেল (অবঃ) অলি আহমেদ বিএনপি থেকে অপমানিত হয়ে দল থেকে বেরিয়ে নিজেই একটি রাজনৈতিক সংগঠনের সৃষ্টি করেন



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: