
- দেশ অচল করে দেওয়ার হুসিয়ারি, সরকারের কাছে যুববন্ধুর যৌক্তিক দাবী মানা না হলে
স্টাফ রিপোর্টারঃ যুবলীগের উদ্যোগে বিএনপি র রাজনিতী নিষিদ্ধ করার জন্য এবং বিএনপি যে একটি জংগী সংগঠন তা বাংলদেশর মানুষকে জানিয়ে সচেতন করার জন্য এবং বিএনপি জঙ্গি সংগঠন হিসেবে চিহিৃত হওযায় তার রাজনীতি বন্ধের দাবিতে আজ বিকাল ৩.০০ ঘটিকায় রাজধানীর কাকরাইলের যুবজাগরন মঞ্চের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ সরকারের প্রতি জোরালো দাবি জানিয়ে সমাবেশ, লিফলেট বিতরনএবং বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে।
বিএনপি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন তা প্রচারের লক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ ঘোষিত ১০ দিন এর কর্মসূচি এর যে ঘোষনা দিয়েছে যুবলীগের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী তার অংশ হিসেবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি যুববন্ধু ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট ২০ ও ২১ নং ওয়ার্ডের জনগনকে সাথে নিয়ে লিফলেট বিতরণ ও সমাবেশ এবং বিক্ষোভ মিছিল করে।মিছিলের পূর্বে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে যুববন্ধু ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট বলেন, সফল রাষ্ট্র নায়ক শেখ হাসিনার সময়ের শ্রেষ্ট আবিষ্কার। বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের বিপ্লবী চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী সারা দেশ ব্যাপি যে কর্মসুচি দিয়েছে, বিএনপি নামের জঙ্গি সংগঠনের রাজনীতি বন্ধের দাবিতে , আমার সেই কর্মসুচির প্রথম দিন ১৯, ২০ নং ওযার্ডে যুবলীগের যে ১০ দফা দাবি তা জনগনের মাঝে পৌঁছে দেওয়া এবং বাস্তবায়ন এর লক্ষে এবং জনগনের সমর্থন আদায়ের জন্য আমরা জনসংযোগ কর্মসুচি গ্রহন করব। আপনারা জানেন এই বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা খুনি জিয়া বিএনপির জন্ম হওয়ার আগে বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে জরিত ছিল, যেহেতু এই জিয়া হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে সেই হিসেবে এই বিএনপির রাজনীতি আগেই নিষিদ্ধ হওয়া প্রয়োজন ছিল। তার ধারাবাহিকতায় তার স্ত্রী খালেদা জিয়া শেখ হাসিনাকে ২৪ বার হত্যার ষড়যন্ত্র করেছে এবং সবচেয়ে নৃশংস তম ২১আগষ্ট হত্যার ষড়োযন্ত্র করেছিল। শেখ হাসিনাকে গ্রেনেড ছুড়ে হত্যা করতে চেয়েছিল। আল্লাহর রহমতে নেত্রী বেঁচে গেলেও আইভি রহমানসহ ২৪ জন নেতা কর্মীকে জীবন দিতে হয়েছিল।
তিনি আরো বলেন, প্রিয় বন্ধুরা রাজনৈতিকমতোবিরোধ থাকতেই পারে, তাই বলে অপর পক্ষকে হত্যা করতে হবে তা ভাবা যায় না। শুধু হত্যার ষড়োযন্ত্র করেই ক্ষ্যান্ত হয়নি প্রিয় বন্ধুরা, বি এন পি, এই সন্ত্রাসী কর্মকান্ডকে ভিন্ন খাতে প্রচারিত করার জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কুট কৌশল করেছিল, এমন কি জজ মিয়া নাটকও সাজিয়ে ছিল।
কিন্তু সত্যের জয় চিরদিন হয়।
অবশেষে দেশবাসী জানতে পারল আদালতের রায় হলো বিএনপি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এই নৃসংশতম হত্যাকান্ডে জরিত ছিল। আদালতের রায়ে বিএনপির পিন্টু, বাবরসহ ২৪ জনের মৃত্যুদন্ড এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়াসহ ২৪ জনের যাবৎজীবন কারাদন্ড হয়। এর আগে বিএনপির সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের জন্য কানাডার ফেডারেল কোর্ট, বিএনপিকে একটি জঙ্গি সংগঠন হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। তাই বন্ধুরা আমাদের প্রিয় চেয়ারম্যান বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৮ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বাংলাদেশে যে কোন জঙ্গি সংগঠন রাজনৈতিক অধিকার রাখে না আমরা তা দেশ বাসীর মাঝে পৌঁছে দিয়ে তাদের সচেতন করে এবং বিএনপির রাজনীতি নিষিদ্ধ করার জোরালো দাবি জানাবো।
যদি আমাদের দাবি না মানা হয় তবে আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরীর নেতৃত্বে দেশ অচল করে দেওয়া হবে।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, মহানগর দক্ষিনের সহ -সভাপতি মাইনউদ্দিন রানা ,সোহরাব হোসেন সপন, কামাল উদ্দিন খান, মুহাম্মদ মাহবুবর রহমান পলাশ, খোরশেদ আলম মাসুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বকুল, গাজী সারোয়ার হোসেন বাবু, ইব্রাহিম খলিল মারুফ, মাকসুদুর রহমান, প্রচার সম্পাদক, আরমান হক বাবু, দপ্তর সম্পাদক এমদাদসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: