ঢাকা | বুধবার, ৭ মে ২০২৫, ২৩ বৈশাখ ১৪৩২

নির্বাচনী প্রচারে পুনরায় দেশ সেবার সুযোগ চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ১২ ডিসেম্বর ২০১৮ ২০:১৬

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ১২ ডিসেম্বর ২০১৮ ২০:১৬

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা পুনরায় দেশ সেবার সুযোগ এবং উন্নয়নের ধারবাহিকতা রক্ষায় নৌকা মার্কায় ভোট দেয়ার আহ্বানের মাধ্যমে আজ তাঁর নির্বাচনী প্রচার শুরু করেছেন।
এখানে শেখ লুৎফর রহমান ডিগ্রী কলেজ মাঠে আয়োজিত বিশাল জনসভায় শেখ হাসিনা আসন্ন নির্বাচনে যুদ্ধাপরাধী, জাতির পিতার খুনী এবং অগ্নি সন্ত্রাসকারীদের নির্বাচনী জোটের বিরুদ্ধে নৌকাকে বিজয়ী করে তাদের উপযুক্ত জবাব দেওয়ার জন্যও দেশবাসীর প্রতি আহবান জানান।
তিনি দেশবাসীর সাহায্য ও দোয়া কামনা করে বলেন, ‘আমি নৌকা মার্কায় যাকেই, যেখানে প্রার্থী করেছি তাদের সবাইকে ভোট দেবার জন্য আমি দেশবাসীর কাছে আহবান জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘আজকে যারা ঐ মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী, যুদ্ধাপরাধী, যাদের সাজা হয়েছে তাদের দোসরকে নির্বাচনে প্রার্থী করেছে। তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে স্বাধীনতা বিরোধী- স্বাধীনতার শক্রু, গণহত্যা পরিচালনাকারী, অগ্নি সন্ত্রাসকারী-তাদেরকে নিয়ে আজকে নির্বাচনের মাঠে নেমেছে তাদেরকে উপযুক্ত জবাব আপনাদের দিতে হবে, নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে।’
শেখ হাসিনা বলেন, তাই কোটালিপাড়াবাসীর মাধ্যমে সমগ্র দেশবাসীকে আমি আহবান জানাবো- ‘আমরা যেখানে ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করবো সেই সময় যেন ঐ যুদ্ধাপরাধী, স্বাধীনতাবিরোধী, খুনী, রাজাকার এবং যারা অগ্নিসন্ত্রাসকারী তারা যেন ক্ষমতায় আসতে না পারে। তাহলে তারা দেশকে ধ্বংস করে দেবে। মুক্তযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করে দেবে।’
তিনি আশংকা ব্যক্ত করে বলেন, ‘বিএনপি-জামাত জোট ক্ষমতায় এলে আবার এদেশ ক্ষুধার্ত হবে, অশিক্ষিত হবে, মানুষের ভাগ্য বিপর্যয় ঘটবে।’
‘মানুষের ভাগ্য নিয়ে যেন আর তারা ছিনিমিনি খেলতে না পারে সেইজন্য নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে জনগণের সেবাকরার সুযোগ দেয়ার জন্য আমি আহবান জানাচ্ছি,’ যোগ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেহেতু এটা আমার প্রথম নির্বাচনী সভা, তাই, এই সভা থেকেই আমি সমগ্র দেশবাসীর কাছে আবেদন জানাই- ‘নৌকা মার্কায় ভোট চাই। জনগণের সেবা করতে চাই। বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই, জাতির পিতার স্বপ্ন আমি পূরণ করতে চাই।’
কোটালীপাড়ায় অনুষ্ঠিত শেখ হাসিনার প্রথম নির্বাচনী বিশাল জনসভায় বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানাও তাঁর সঙ্গে ছিলেন।
কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুভাষ জয়ধরের সভাপতিত্বে সমাবেশে আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য কাজী আকরাম উদ্দীন আহমেদ, যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আফম বাহাউদ্দিন নাছিম এবং বিএম মোজাম্মেল হক, কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, এসএম কামাল হোসেন অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন।
এছাড়াও চলচ্চিত্রাভিনেতা রিয়াজ এবং ফেরদৌস এবং আওয়ামী লীগের স্থানীয় প্রার্থীগণ বক্তৃতা করেন।
এরআগে প্রধানমন্ত্রী আজ দুপুরে টুঙ্গীপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে তাঁর এবং দলের নির্বাচনী প্রচারভিযান আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করেন।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে আগামী নির্বাচনকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আখ্যায়িত করে বলেন, আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছি। জাতির পিতার খুনীদের বিচার করেছি। বাংলাদেশ আজকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এগিয়ে যাচ্ছে, মুক্তযুদ্ধের সেই চেতনা নিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচ ুকরে দাঁড়িয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলেই যে বাংলার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয় তা আজকে আবার প্রমাণ হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ‘নৌকায় ভোট দিয়ে আপনারা স্বাধীনতা পেয়েছেন, বাংলা ভাষায় কথা বলার অধিকার পেয়েছেন, ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ আজকে বাস্তব, আজকে বাংলাদেশ কাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, আজকে বাংলাদেশ সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, এই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রা কেউ যেন বন্ধ করতে না পারে, এই অগ্রযাত্রা যেন অব্যাহত থাকে। বিশ্বসভায় বাঙালি জাতি যেন মাথা উঁচু করে চলতে পারে সেই সুযোগ আমি দেশবাসীর কাছে চাই।
আর কোটালীপাড়ায় যারা আমার মা-বোনরা আছেন, তাদের কাছে ভোট চাই- তাঁদেরকে আমি বলবো আপনাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য যে কাজ আমি করে গিয়েছি- আজকে শিক্ষা-দীক্ষা, কর্মসংস্থান- সবদিক থেকে আপনারা সুযোগ পেয়েছেন কারণ নৌকায় ভোট দিয়ে কেউ কখনও বঞ্চিত হয় না, নৌকায় ভোট দিলে সকলেই সুন্দর জীবন পায়, উন্নত জীবন পায়। আমার এই কথাটা আপনারা সকলের কাছে পৌঁছে দেবেন, বলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: