
একাদশ জাতীয় সংসদের নতুন মন্ত্রিসভায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন ডা. দীপু মনি। এর আগে ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ
ডা. দিপু মনির জন্ম ৮ ডিসেম্বর, ১৯৬৫। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং ভাষা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ও পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র লীগের প্রথম কাউন্সিল-নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক এম.এ ওয়াদুদের কন্যা। তিনি হলিক্রস কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস এবং বাংলাদেশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় হতে এলএলবি পড়েন। এমবিবিএস ডিগ্রি লাভের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব পাবলিক হেলথ থেকে এমপিএইচ ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়া তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি ও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমঝোতা ও দ্বন্দ্ব নিরসন এর ওপর একটি কোর্স সম্পন্ন করেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের একজন আইনজীবী ।
দীপু মনি চাঁদপুর-৩ আসনের নির্বাচিত সংসদ সদস্য। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়- প্রতিবেশী দেশসমূহের সাথে বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে তিনি কমনওয়েলথ মিনিস্ট্রেরিয়াল অ্যাকশন গ্রুপ-এর প্রথম নারী এবং দক্ষিণ এশীয় চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হন। এছাড়া তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ সমুদ্র জয় করে। এতে করে বাংলাদেশ সরকার প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার এবং ভারতের সাথে প্রায় চার দশকের সমুদ্র সীমা সংক্রান্ত অমীমাংসিত বিষয়টি আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় চূড়ান্ত ভাবে নিষ্পত্তির উদ্যোগ গ্রহণ করে ।
সামাজিক উন্নয়ন এবং প্রশাসনিক ক্ষেত্রে তাঁর অনন্য অবদানের জন্য তিনি মাদার তেরেসা আন্তর্জাতিক পুরষ্কারে ভূষিত হন। ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের ২০তম কাউন্সিলে তিনি পুনরায় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন। ৬ জানুয়ারী ২০১৯ এ তিনি একাদশ জাতীয় সংসদের অধীনে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এর দায়িত্ব পান।
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের এ্যাডভোকেট তৌফীক নাওয়াজ দীপু মনি`র স্বামী। তিনি আন্তর্জাতিক একটি ল’ফার্মের প্রধান। তিনি উপমহাদেশের দু’ হাজার বছরের ঐতিহ্য মন্ডিত ধ্রুপদী সঙ্গীতের উৎস হিসেবে পরিচিত ‘আলাপ’ এর একজন শিল্পী। তাঁদের রয়েছে দু’সন্তান। পুত্র তওকীর রাশাদ নাওয়াজ ও কন্যা তানি দীপাভলী নাওয়াজ।
তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ
এ দিকে সচিবালয়ে বিদায়ী সাক্ষাত কারে নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন।
তিনি (ডা. দিপু মনি) উচ্চ শিক্ষিত। তার জ্ঞান ও শিক্ষা উচ্চমানের। তিনি খুবই মার্জিত। তাকে আমি পছন্দ করি, আমাদের সম্পর্ক খুবই ঘনিষ্ঠ। আমরা দীর্ঘদিন ধরে সংসদে একসাথে কাজ করছি। মন্ত্রিসভায়ও একসাথে ৫ বছর কাজ করেছি। ফলে উনি এখানে দায়িত্ব পেয়ে আসাতে আমি খুবই খুশি। আমি তাকে স্বাগত জানাচ্ছি।
সোমবার সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিদায়ী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ডা. দিপু মনি খুবই উদ্যোগী মানুষ। তিনি উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে উচ্চমানে নিয়ে যাবেন বলে আমি আশা করছি।
তিনি আরো বলেন, নির্বাচনের আগে দেশের অগ্রগতি, পরিস্থিতিসহ সব কিছু বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী জনগণের কাছে পরিকল্পনা তুলে ধরেছিলেন। জনগণ তাকে রায় দিয়েছে। তাই মন্ত্রিসভা গঠন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলবার ক্ষেত্রে নতুনদের যে সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছেন সেটা বিরাট দূরদর্শিতা। সঠিকভাবেই প্রধানমন্ত্রী এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমি তাকে অভিনন্দন জানাই। এ ছাড়া সকল মন্ত্রীদেরকেও অভিনন্দন জানাচ্ছি।
বিদায়ী মন্ত্রী আরও বলেন, তিনি (প্রধানমন্ত্রী) যে লক্ষ্য নিয়ে যাবেন, আমরা তার কর্মী হিসেবে কাজ করব যার যার জায়গা থেকে
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: